Sunday, May 11, 2025

“নথিভুক্ত হও, নইলে আমেরিকা ছাড়ো!” ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারিতে বিদেশিরা আতঙ্কে

Share

ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারিতে বিদেশিরা আতঙ্কে!

ভিসা হাতে নিয়ে আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছেন, তাই নিশ্চিন্ত? এখন আর তা ভাবলে চলবে না! কারণ আমেরিকায় বৈধ ভিসা থাকলেও, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্দেশে বিদেশিদের মানতে হবে এক নতুন এবং কঠোর নিয়ম। নিয়ম না মানলে শুধু জরিমানা নয়, হতে পারে জেল, এমনকি আমেরিকা থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, যাঁরা আমেরিকায় ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন, তাঁদের অবশ্যই সরকারের কাছে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে এইচ-১বি ভিসাধারী পেশাজীবী এবং ছাত্রদের ক্ষেত্রেও। নিয়ম লঙ্ঘন করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে—জরিমানা, জেল, বা দুটোই!

এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আলোড়ন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানায়, “৩০ দিনের বেশি সময় যাঁরা আমেরিকায় থাকবেন, তাঁদের সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতেই হবে। না করলে, শাস্তি অনিবার্য।” এমনকি কানাডা থেকে যাঁরা বসবাস করতে এসেছেন, তাঁদেরও এই নিয়ম মানতে হবে।

বিশেষত অভিবাসীদের পরিবারগুলির জন্য এসেছে আরও কঠিন নির্দেশ। ১৪ বছর বয়স পেরোলেই সন্তানদের নতুন করে সরকারের দফতরে গিয়ে নাম লেখাতে হবে, দিতে হবে আঙুলের ছাপ। আর ১৮ বছরের বেশি বয়স হলে সঙ্গে রাখতে হবে বৈধ বসবাসের প্রমাণপত্র। সময়ের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে, ফেরার সুযোগটুকুও হারাতে হতে পারে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব ক্রিস্টি নোয়েম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা একেবারে পরিষ্কার—অবৈধভাবে যারা আমেরিকায় রয়েছেন, তারা এখনই দেশ ছাড়ুন। এখন ফিরে গেলে ভবিষ্যতে ফেরার একটা সুযোগ থাকবে, কিন্তু নিয়ম ভাঙলে আমেরিকার পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।”

এই নিয়ম আদতে একেবারে নতুন নয়। ১৯৪০-এর দশকে প্রথম চালু হয়েছিল এই নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া। তবে বাস্তবে তা তেমন প্রয়োগ হয়নি। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে এসে এই পুরনো আইনকে নতুন করে সক্রিয় করেছেন। আর সম্প্রতি বিচারক ট্রেভর ম্যাকফাডেন আইনি অনুমোদন দেওয়ার পরেই প্রশাসন একে কার্যকর করতে শুরু করেছে।

এই নির্দেশে আমেরিকায় থাকা লাখো বিদেশি নাগরিকের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। অনেকেই ভাবছেন, নিজের কাজ বা পড়াশোনা সামলে কীভাবে এই নতুন নিয়ম মানা সম্ভব? তবে ট্রাম্প প্রশাসন একটুও নরম নয়—তাদের মতে, দেশের নিরাপত্তা এবং নাগরিকদের স্বার্থই সবার আগে।

বিদেশি নাগরিকদের জন্য এটা এক কঠিন সময়। নিয়ম মানলে বাঁচার আশা, না মানলে ফেরার সব পথ বন্ধ। এখন দেখার বিষয়, এই নিয়ম কতটা কড়াভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং তাতে আমেরিকায় বিদেশিদের জীবনে কত বড় প্রভাব পড়ে।

ট্রাম্প বনাম জিনপিং: শুল্কযুদ্ধে কোন পক্ষ প্রথম পিছু হটবে?

Read more

Local News