জীতু–দিতিপ্রিয়া দ্বন্দ্বের মাঝেই নায়কের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা!
টানা তিন ঘণ্টার মিটিং—তবুও সমাধান নেই। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করা জীতু কমল এবং নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায়ের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনা যেন আরও জটিল রূপ নিচ্ছে। বহুদিন ধরেই শুটিং সেটে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের খবর চাউর হয়েছে। সোমবারের বৈঠককে কেন্দ্র করে প্রত্যাশার পাহাড় জমলেও শেষ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। এর মধ্যেই মুখ খুললেন জীতু। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ এক বার্তা দিলেন, যা তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিতর্কের পর থেকেই নীরব ছিলেন জীতু। কেউ ভাবেননি তিনি এত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাবেন। কিন্তু মঙ্গলবার অভিনেতা সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ‘আর্য’ চরিত্রে অভিনীত একজন শরীরচর্চায় ব্যস্ত। ভিডিয়োটির সঙ্গে জীতুর বার্তা— “কঠিন পরিশ্রমই সফল হওয়ার শেষ উপায়।”
এই কথায় যেন স্পষ্ট দিকনির্দেশ। কোনও ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে লেখা না হলেও, সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই পোস্ট যে গভীর ইঙ্গিত বহন করছে, তা অনুরাগীদের কাছে স্পষ্ট। অনেকেই মন্তব্য করেছেন—এটি কি দিতিপ্রিয়াকে উদ্দেশ করে? নাকি সমগ্র পরিস্থিতির মধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নায়ক?
ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। মিটিংয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। শোনা যায়, বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে যান জীতু, যা দেখে ধারাবাহিকের নির্মাতারা হতবাক। তাঁর এই আচরণ থেকেই জল্পনা—তাহলে কি সত্যিই ‘আর্য’ চরিত্র থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি? যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি, তবু টলিউড মহলে গুঞ্জন জোরদার।
তবে ঠিক কী নিয়ে শুরু হয়েছিল গোলমাল? ভিতরের খবর বলছে, শুটিংয়ের সময় নিয়েই মূল সমস্যার সূত্রপাত। নির্দিষ্ট দিনে নায়ক নাকি যথাসময়ে, বরং কিছুটা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সেটে। কিন্তু নায়িকা দিতিপ্রিয়া দেরিতে আসেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জীতুকে। সেই ক্ষোভেই নাকি তিনি সেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যদিও দু’জনেরই তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য মেলেনি।
শিল্পীরাও মানুষ। ব্যস্ততার মাঝে কোনও অস্বস্তি বা ভুল বোঝাবুঝি হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন দুই জনপ্রিয় মুখের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে, তখন তা সমগ্র টেলি-জগতেই আলোড়ন তোলে। কাজের চাপ, ডেডলাইন, চ্যানেলের প্রত্যাশা—সব মিলিয়ে স্টারের উপর চাপও কম নয়। তবে এই পরিস্থিতিতে জীতুর পোস্ট অনেকটাই বলে দিচ্ছে যে তিনি নিজেকে শান্ত রাখতে চাইছেন, এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে জড়াতে নারাজ।
দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, এটি সাময়িক মনোমালিন্য, শীঘ্রই সমাধান হবে। আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন—নায়ক যদি সত্যিই ধারাবাহিক ছাড়েন, তবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর জনপ্রিয়তা কি টিকে থাকবে? কারণ আর্য–ঈশা জুটি এই ধারাবাহিকের প্রধান আকর্ষণ।

