কাসগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
উত্তরপ্রদেশে একের পর এক সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনা রাজ্যটিকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সম্প্রতি বারাণসীর পর কাসগঞ্জে ঘটে গেলো একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, যেখানে হবু স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ঝাল সেতুতে নারকীয় আক্রমণ
কাসগঞ্জের ঝাল সেতু এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনা একেবারে ভীতিকর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী সদ্য বাগ্দান করেছেন এবং হবু স্বামীকে নিয়ে সেতুর কাছে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই সেখানে সাত-আটজন যুবক এসে তাদের লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করতে শুরু করে। এরপর তরুণীর হবু স্বামীকে মারধর করে তারা তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুট করে নেয়। অভিযোগ, তাকে মারধরের পরই ওই যুবকরা তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
আতঙ্কে পরিবারকে জানানো হয়নি
ঘটনার পর, ভয়ে এবং আতঙ্কে তরুণী দুই দিন কাউকে কিছু বলেননি। তবে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সন্দেহ জাগে। পরিবারকে সব খুলে বলার পর, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশি পদক্ষেপ ও গ্রেফতার
কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার অঙ্কিতা শর্মা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করেন এবং আটজনকে গ্রেফতার করেন। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা বেড়ে গেছে, বিশেষত যখন বারাণসীতে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ এখনও পুরোপুরি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
উত্তরপ্রদেশে ক্রমবর্ধমান অপরাধ
এটি উত্তরপ্রদেশের জন্য এক গভীর উদ্বেগের মুহূর্ত, যেখানে একের পর এক নৃশংস ঘটনা সামনে আসছে। বারাণসীর গণধর্ষণ নিয়ে যখন দেশজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে, তখন কাসগঞ্জের ঘটনা সেই ক্ষোভে আরও তেলের কাজ করছে। বিশেষত, পুলিশ প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। গত ৩ এপ্রিল বারাণসীতে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও, এখনও ১১ জন পলাতক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনা শুধু উত্তরপ্রদেশের নয়, সারা দেশের জন্যই এক ভয়ঙ্কর প্রতীক হয়ে উঠেছে। একে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে আরও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে, এবং সরকার ও প্রশাসনের কাছে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।