Monday, April 21, 2025

দুই ‘বন্ধু’ প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানে কী বিক্রি করে ভারত? শুল্ক-চাপের আবহে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

Share

চিন ও পাকিস্তানে কী বিক্রি করে ভারত?

বিশ্বজুড়ে যখন শুল্ক যুদ্ধের উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে—চিন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী এবং রাজনৈতিকভাবে ‘সংকটময়’ বন্ধুদের কাছে ঠিক কী কী পণ্য রফতানি করে ভারত? অনেকেই হয়তো জানেন না, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও ভারতের তৈরি পণ্য এই দুই দেশের বাজারে যথেষ্ট চাহিদাসম্পন্ন।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার বাজারে আমদানি হওয়া বহু দেশের পণ্যের উপর কড়া শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। এই নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হচ্ছে বুধবার মধ্যরাত থেকে। এরই মাঝে একাধিক দেশ পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আলোচনায় রয়েছে ভারতও। এর ফলে ভারতের রফতানি নীতিও নতুন করে নজরে এসেছে, বিশেষ করে তার প্রতিবেশীদের প্রতি।

চিন, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ বলা হয়, তার সঙ্গে ভারতীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বেশ উল্লেখযোগ্য। ভারতের পক্ষে শীর্ষ রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে চা ও মশলা—যার খ্যাতি গোটা বিশ্বজুড়েই। আশ্চর্যের বিষয়, চিনও এই ভারতীয় চা এবং মশলার বড় ক্রেতা

চিনে ভারত তুলা রফতানি করে, যা মূলত টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, ইস্পাত তৈরির কাঁচামাল, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং সামুদ্রিক খাবার (যেমন চিংড়ি, মাছ) চীনা বাজারে পাঠায় ভারত।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গেও রফতানি-বাণিজ্য এখনো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি, যদিও পরিমাণে হ্রাস ঘটেছে সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে। তবুও, ওষুধ, চা, কফি, ফল এবং সবজি এখনো নিয়মিত রফতানির তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা, টোম্যাটো—এই ধরনের কৃষিপণ্যের পাকিস্তানে ভারতীয় রফতানির গুরুত্ব অনেক।

তাছাড়া, প্লাস্টিক, রাবার, কেমিক্যাল, তুলা এবং তৈরি পোশাকও ভারতের রপ্তানি তালিকায় স্থান পেয়েছে। পাকিস্তানের বাজারে ভারতের তৈরি ওষুধের কদর যথেষ্ট, যা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের একটি বড় স্তম্ভ হয়ে রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে যখন আমদানি-রফতানির ভারসাম্য ঘিরে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তখন এই দুই দেশের সঙ্গে ভারতের পণ্য সংযোগ কিছুটা হলেও কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। তবে চিন এবং পাকিস্তান, উভয় দেশকেই ঘিরে ভারতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও নজর এড়িয়ে যায় না।

ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ভারতের উপর শুল্কের বোঝা আপাতত কিছুটা কম—২৬ শতাংশ, যা চিন বা পাকিস্তানের তুলনায় কম হলেও তা ভারতের জন্য চাপের। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারত ইতিমধ্যেই শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেছে।

সুতরাং, বিশ্ববাজারে জটিল পরিস্থিতির মাঝেও ভারত কৌশলীভাবে বাণিজ্য বজায় রাখছে, এমনকি তাদের পুরনো ‘বন্ধু-শত্রু’ প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। প্রশ্ন একটাই—এই রফতানি সম্পর্ক ভবিষ্যতে টিকে থাকবে তো?

পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?

Read more

Local News