Sunday, November 30, 2025

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নতুন পর্দাফাঁস— শ্রীনগর থেকে ধৃত টেকনিশিয়ান, পাক হ্যান্ডলারের অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিলেন ‘ডক্টর টেরর’-এর আদিলকে

Share

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নতুন পর্দাফাঁস!

দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর গোটা দেশ জুড়ে তল্লাশি চলছে। নাশকতার সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন, আহত অনেক। তদন্ত যত এগোচ্ছে, সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ধরা পড়ল এই মডিউলের আর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য— পেশায় টেকনিশিয়ান তুফেইল নিয়াজ়

তদন্তকারী সূত্রের দাবি, পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তুলে এনে তা পৌঁছে দিচ্ছিলেন অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক আদিল রাথর–এর হাতে। আদিলই ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর অন্যতম সক্রিয় সদস্য এবং দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের একজন।


কীভাবে ধরা পড়ল নিয়াজ়?

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ প্রথমে নিয়াজ়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এসআইএ) হাতে। এসআইএ জেরা করেই গ্রেফতার করে টেকনিশিয়ানকে।
তদন্তকারীদের কথায়—
“নিয়াজ় পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। অস্ত্র পাচারে তার ভূমিকা স্পষ্ট।”


‘ডক্টর টেরর মডিউল’— উন্মোচিত হল ভয়ঙ্কর জঙ্গি নেটওয়ার্ক

এই মডিউল প্রথম নজরে আসে নভেম্বরের শুরুতে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গজ়জওয়াত উল হিন্দ-এর জঙ্গি নেটওয়ার্কের খোঁজ পায়। সেই সূত্রেই সামনে আসে অনন্তনাগ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক আদিল রাথর

তার বাড়ি ও গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একটি একে-৪৭ রাইফেল। এখান থেকেই ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগের খোঁজ মেলে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ফরিদাবাদের হোস্টেল, ল্যাব, ক্লাসরুমে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক— যা সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বড় উদ্ধার।


ফরিদাবাদে গ্রেফতার চিকিৎসকরা— তৈরি হচ্ছিল ‘হেলথকেয়ার জঙ্গিসেল’

এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত একাধিক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন—

  • মুজ়াম্মিল গনাই
  • শাহীন সইদ
  • আদিল রাথর
  • উমর নবি (লালকেল্লা বিস্ফোরণে নিহত)

তদন্তকারীরা মনে করছেন, চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় ব্যবহার করে এই নেটওয়ার্ক দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের নিরাপদ চ্যানেল গড়ে তুলেছিল। হাসপাতাল, মেডিক্যাল লেকচার আর ইন্টার্নশিপের নামে তারা বিভিন্ন রাজ্যে চলাচল করত এবং জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত আশপাশের সন্দেহহীন মানুষের চোখের সামনে।


লালকেল্লা মেট্রো বিস্ফোরণ— নতুন তথ্যের খোঁজে তদন্ত

১০ ডিসেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল উমর নবি— তদন্তকারীদের দাবি। বিস্ফোরণে উমর নিজেও মারা যায়। কিন্তু সেই বিস্ফোরণে জড়িত বাকি সদস্যদের খুঁজে পেতে এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে নিয়াজ়–কে।

এসআইএ–র এক আধিকারিক জানিয়েছেন—
“অসম্ভব নয় যে শ্রীনগরের এই টেকনিশিয়ান শুধু অস্ত্র নয়, বিস্ফোরকের চোরাপথ তৈরিতেও যুক্ত ছিল।”


দেশজুড়ে চলছে গ্রেফতারি অভিযান

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে এই নাশকতার জাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধরা হয়েছে একাধিক সন্দেহভাজনকে। এবার ধরা পড়ল পাক হ্যান্ডলার–সংযুক্ত টেকনিশিয়ান তুফেইল নিয়াজ়— যিনি জঙ্গি মডিউলের অস্ত্র-বিস্ফোরক সরবরাহচক্রের গুরুত্বপূর্ণ কড়ি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Read more

Local News