দাদুর ওপর ৭০ বার ছুরির কোপ!
সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ এমন ভয়াবহ রূপ নেবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি হায়দরাবাদের প্রখ্যাত শিল্পপতি ভিসি জনার্দন রাও। নিজের নাতির হাতেই ৭০ বার ছুরির আঘাতে মৃত্যু হলো ৮৫ বছরের বৃদ্ধের! শুধু দাদু নয়, রাগের মাথায় নিজের মাকেও ছুরি মেরে গুরুতর আহত করেছে ওই নাতি।
হায়দরাবাদের এই মর্মান্তিক ঘটনা চমকে দিয়েছে পুরো দেশকে।
🏠 মধ্যরাতে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড!
🗓 ৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার।
📍 হায়দরাবাদ, জনার্দন রাওয়ের বাড়ি।
🕗 রাতের খাবার শেষে পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল।
সেই আলোচনাই মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হয় তুমুল তর্কে। আমেরিকা থেকে সদ্য দেশে ফেরা কে কীর্তি তেজা হঠাৎই প্রচণ্ড রেগে যান। তিনি দাবি করেন, তাঁর দাদু জনার্দন রাও সম্পত্তির সঠিক ভাগ দিতে চাইছেন না। এরপরেই ঘটনার মোড় নেয় এক ভয়াবহ দিকে!
🔪 ছুরি হাতে নাতি, ৭০ বার কোপ!হঠাৎই তেজা ছুরি বের করে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন দাদুকে!
🔴 পর পর ৭০ বার ছুরি চালিয়ে রক্তাক্ত করে দেন বৃদ্ধ জনার্দনকে।
🔴 ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিল্পপতির।
🔴 মায়ের চোখের সামনেই খুন হন জনার্দন রাও!
শুধু দাদুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তেজা। মা বাধা দিতে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে! মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক, বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
😡 ছোটবেলার অভিমান থেকেই কি খুন?
পুলিশি জেরায় নাতি তেজা স্বীকার করেছে, ছোটবেলা থেকেই দাদুর প্রতি তার অভিমান ছিল।
🛑 তার দাবি, দাদু নাকি অন্য নাতিদের বেশি ভালোবাসতেন।
🛑 সম্পত্তির ভাগ না পেয়ে রাগের মাথায় এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
🛑 তেজার যুক্তি, “যেহেতু ছোটবেলায় দাদু আমাকে ভালোবাসেননি, তাই আমারও তাঁর প্রতি কোনো ভালোবাসা ছিল না!”
এই স্বীকারোক্তিতে হতবাক গোটা পরিবার।
👮🏼 পুলিশের তদন্ত ও গ্রেফতার
🗂 পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
🚔 ঘটনার পরদিনই, ৯ ফেব্রুয়ারি, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তেজা।
🏛 হত্যা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের মতে, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত খুন। সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক ছিল অনেক দিন ধরেই, যা শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী পরিণতি নিল।
💰 শিল্পপতির পরিবার ও সম্পত্তি বিতর্ক
জনার্দন রাও “ভেলজান গোষ্ঠী” নামে বিশাল ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তাঁর অসংখ্য সম্পত্তি রয়েছে।
নাতি তেজা সম্প্রতি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছিল, সম্ভবত সম্পত্তি ভাগ নিয়েই আলোচনা করতে। কিন্তু সেই আলোচনা নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পরিণত হবে, তা কেউ ভাবতেও পারেননি!
❓ এ ধরনের ঘটনায় কী শেখার আছে?
✔ সম্পত্তির লোভ কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
✔ পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে লালিত অভিমান কখন ভয়ানক পরিণতি নিতে পারে, সেটাও বোঝা গেল।
✔ সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝগড়া কখনোই সহিংসতার দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
🚨 পরিবারের জন্য শোক, তেজার জন্য শাস্তি
এই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা শোকে ভেঙে পড়েছেন।
😢 “কীর্তি আমাদের রক্তের সম্পর্ক, কিন্তু সে আমাদের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে,” বলেছেন এক আত্মীয়।
⚖ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তেজার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন অপেক্ষা— আদালতের রায়ের। এক নৃশংস খুনের বিচার হবে, কিন্তু কি ফিরবে সেই হারিয়ে যাওয়া পারিবারিক শান্তি?
গুরুতর অসুস্থ ওড়িয়া অভিনেতা উত্তম মহান্তি, ভেন্টিলেশনে রেখে দিল্লিতে স্থানান্তর