মার্বেল মূর্তি
দীর্ঘদিন ধরে একটি পার্কের দরজার পাশে অবহেলায় পড়ে ছিল একখণ্ড মার্বেল মূর্তি। দরজা বন্ধ রাখতে সেটি ব্যবহার করা হত। কিন্তু সেই মূর্তিই আজ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, কারণ এর মূল্য হতে পারে ২৭ কোটি টাকা!
মূর্তির অজানা ইতিহাস
১৮ শতকের প্রথম দিকে ফরাসি ভাস্কর অ্যাডাম বোচার্ড এই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন। এটি তৎকালীন জমিদার ও রাজনীতিক জন গর্ডনের প্রতিকৃতি। ১৯৩০ সালে ইনভারগর্ডন কমিউনিটি কাউন্সিল মূর্তিটি কিনেছিল মাত্র ৫০৬ টাকায়। তারপর থেকেই এটি একটি উদ্যানের দরজার পাশে পড়েছিল। মূর্তিটির ঐতিহাসিক ও আর্থিক মূল্য সম্পর্কে কাউন্সিল কিংবা স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও ধারণাই ছিল না।
মূল্যবান মূর্তির নতুন আবিষ্কার
সম্প্রতি মূর্তিটির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হন স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ১৮ শতকের ফরাসি শিল্পকলার এক অসাধারণ নিদর্শন। মূর্তির অমূল্যত্ব জানার পর এটি বিক্রির উদ্যোগ নেয় কাউন্সিল। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর মূর্তিটির নিলামের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কেন এত মূল্যবান?
মার্বেল মূর্তিটি শুধুমাত্র একটি প্রাচীন শিল্পকর্মই নয়, এটি ফরাসি ভাস্কর অ্যাডাম বোচার্ডের দক্ষতার পরিচায়ক। তৎকালীন সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জন গর্ডনের স্মৃতিরূপে এটি তৈরি হয়েছিল। তার উপর এত বছরের পুরনো হলেও মূর্তিটি সংরক্ষিত রয়েছে প্রায় অবিকল অবস্থায়। এক ক্রেতা ইতিমধ্যে মূর্তিটির জন্য ২৭ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন, যদিও সেটি গ্রহণ করা হয়নি। এখন নিলামের মাধ্যমে আরও উচ্চমূল্যে এটি বিক্রির পরিকল্পনা চলছে।
অনুরূপ ঘটনার নজির
২০১৮ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে দরজার আটকানোর জন্য ব্যবহৃত একটি শিলা পরে বিরল উল্কাপিণ্ড বলে প্রমাণিত হয়। গবেষণার পর সেই শিলা ৬৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে অমূল্য সম্পদ কখনও কখনও অবহেলায় পড়ে থাকে, যা সময়মতো আবিষ্কার করলে তার প্রকৃত মূল্য ফিরে আসে।