Friday, May 9, 2025

‘তৈমুর আমার চেয়েও সাহসী’, ছেলের অদ্ভুত মানসিক শক্তির গল্প শোনালেন সইফ!

Share

ছেলের অদ্ভুত মানসিক শক্তির গল্প শোনালেন সইফ!

একদিকে ভয়াবহ হামলার স্মৃতি, অন্যদিকে নিজের ছেলের অদম্য সাহস—এই দুই বিপরীত অনুভূতির সঙ্গে এক রাত কাটিয়েছিলেন সইফ আলি খান। মাঝরাতে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে যখন হাসপাতালে ছুটতে হয়েছিল তাকে, তখন সঙ্গে ছিলেন মাত্র আট বছরের তৈমুর। কিন্তু বাবার রক্তাক্ত দেহ দেখে কাঁদেনি বা ভয় পায়নি সে—বরং তৈরি রেখেছিল নিজেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানালেন, কীভাবে নিজের ছেলের কাছ থেকেই তিনি শেখার চেষ্টা করছেন এক বিশেষ গুণ।

‘পজিটিভিটি চুরি করতে চাই’—সইফের খোলামেলা স্বীকারোক্তি

সইফ এখন ব্যস্ত তাঁর আসন্ন থ্রিলার ছবি ‘জুয়েল থিফ’-এর প্রচারে। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যদি তৈমুরের কোনও একটি গুণ চুরি করতে পারেন, তাহলে কোনটি বেছে নেবেন? উত্তরে সইফ বলেন,

“ওর পজিটিভিটি। তৈমুর আমার চেয়েও অনেক বেশি ইতিবাচক। বলা ভাল, প্রায় সব বিষয়েই আমার চেয়ে বেশি পজিটিভ থাকে। এটা বাচ্চাদের একটা অসাধারণ গুণ।”

সত্যি বলতে, ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও যে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়, তা তৈমুর যেন নিজের চোখেই প্রমাণ করেছে।

ভয়াল রাত, যেখানে সাহস দেখাল এক ছোট্ট ছেলে

ঘটনাটি ঘটেছিল এক রাতে, যখন সইফের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল সে। বাধা দিলে সইফের উপর হামলা চালায়, ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সেই মুহূর্তে আতঙ্কে ভেঙে পড়ার বদলে ছোট্ট তৈমুর বাবার পাশে দাঁড়ায়। হাসপাতালে যায়, এবং কোনও ভয় না পেয়ে প্রমাণ করে দেয়, সে বাবা-মায়ের সাথেই থাকবেই, যাই ঘটুক না কেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরাও নাকি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এই শিশুর সাহস দেখে। সইফ নিজেই জানিয়েছেন, তৈমুরের এমন মনের জোর দেখে তিনি সত্যিই গর্বিত।

স্পটলাইট থেকে আড়ালে তৈমুর

তৈমুর জন্ম থেকেই পাপারাজ্জিদের প্রিয় মুখ। যেখানেই যায়, ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাকে। কিন্তু এই হামলার ঘটনার পর থেকেই সইফ ও করিনা তাদের দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ-কে প্রকাশ্যে আনা কমিয়ে দিয়েছেন। তারা চায় না সন্তানদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্থিতি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।

‘জুয়েল থিফ’-এ সইফের নতুন রূপ

এই মুহূর্তে সইফের ফোকাস সম্পূর্ণরূপে নতুন থ্রিলার ‘জুয়েল থিফ’-এ। এই ছবিতে সইফের সঙ্গে দেখা যাবে জয়দীপ অহলওয়াত, কুণাল কপূর ও নিকিতা দত্ত-কে। খুব শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।

উপসংহার

যখন এক বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় লড়ছেন জীবনমরণের সঙ্গে, তখন এক ছেলে—মাত্র আট বছরের তৈমুর—দেখিয়ে দিল কীভাবে সাহস সত্যিই বয়স দেখে না। আর তার এই মানসিক শক্তিই সইফের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। তৈমুরের ইতিবাচকতা শুধু তার বাবাকেই নয়, যেন আমাদের সকলকেই শেখায়—যতই অন্ধকার হোক, বিশ্বাস আর সাহস থাকলে আলো ফিরবেই।

এসএসসি নিয়োগে আসছে বড় পরিবর্তন: পরীক্ষার্থীরা এবার উত্তরপত্রের কার্বন কপি পাবেন!

Read more

Local News