Monday, March 3, 2025

তিন দায়িত্ব নতুন অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের, যাদবপুরে বাড়ছে শূন্য পদের সঙ্ক

Share

তিন দায়িত্ব নতুন অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বর্তমানে গভীর শূন্য পদের সমস্যায় ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল ফিন্যান্স অফিসারের পদ, যা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শূন্য। তার সঙ্গে এবার শূন্য হতে চলেছে স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদও। এই শূন্য পদের সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

গত বছর মে মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করার পর থেকে, এই পদটিও এখনো পূর্ণ হয়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে ভাস্কর গুপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে, সহ-উপাচার্যের দুটি পদের মধ্যে একটি এখনও শূন্য রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে আরও জটিলতা তৈরি করছে।

এবার, স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদও শূন্য হতে চলেছে। ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর মেয়াদ শেষ হবে এবং এরপর দায়িত্ব নিতে চলেছেন ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি কলা বিভাগের সচিব হিসেবে কাজ করছেন, পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগের সচিবের দায়িত্বও পালন করছেন। এই দুটি পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি রেজিস্ট্রারের পদে কাজ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ছয় মাস বা নতুন রেজিস্ট্রারের নিয়োগ হওয়া না until পরবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে, এই সব প্রশাসনিক সমস্যার মধ্যে ফিন্যান্স অফিসারের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পদটি শূন্য পড়েছে, এবং বর্তমানে যুগ্ম ফিন্যান্স অফিসারের অধীনে কাজ চলছে। গত বছর অক্টোবর মাসে ফিন্যান্স অফিসার অবসর নিয়েছিলেন, এবং তার পর থেকে স্থায়ী ফিন্যান্স অফিসারের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।

এই পরিস্থিতি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় মন্তব্য করেছেন, “শুধু প্রশাসনিক পদেই নয়, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। যদি এভাবে পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে খুব তাড়াতাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়ে উঠবে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এমন পরিস্থিতিতে অসুবিধা হচ্ছেই। তবে শুধু যাদবপুর নয়, রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একই সমস্যায় ভুগছে।”

এখন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য পদের এই পরিস্থিতি উচ্চশিক্ষার মান এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে। যদি দ্রুত পদগুলির নিয়োগ না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গতি থমকে যেতে পারে, যা দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

Read more

Local News