কসবা থেকে হুগলি—চাকরিহারাদের ক্ষোভে কাঁপছে রাজ্য
চাকরি হারিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল বাংলার রাজপথ। একদিকে কসবা ডিআই অফিসে তালা ভেঙে ঢোকার চিত্র, অন্যদিকে হুগলির ডিআই অফিসে গেটেই পাল্টা তালা! বুধবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ল চাকরিহারাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
🚨 কসবায় তালা ভেঙে ঢুকলেন চাকরিহারা
বুধবার সকালেই কসবার ডিআই (জেলা পরিদর্শক) অফিসের সামনে জড়ো হন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। পুলিশের তরফে আগেভাগেই প্রস্তুতি ছিল—গেট বন্ধ, ব্যারিকেড কড়া। কিন্তু বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। ব্যারিকেড পেরিয়ে তারা তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন অফিস চত্বরে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা চেয়েছিলেন ডিআই-কে স্মারকলিপি দিতে। কিন্তু অফিসে ছিলেন না তিনি। তখনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আহত হন কয়েকজন বিক্ষোভকারী।
এক চাকরিহারা শিক্ষক প্রতাপ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা যোগ্য হয়েও চাকরি হারিয়েছি। আজ বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের উপর লাঠি চালাল। এটাই কি ন্যায্য বিচার?”
🔒 হুগলিতে পাল্টা তালা, রাস্তায় অবরোধ
একইসঙ্গে উত্তাল হয় হুগলিও। চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা হুগলি স্টেশন থেকে মিছিল করে ডিআই অফিসের দিকে যান। তাঁদের দাবি ছিল, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করে ফের চাকরিতে নেওয়া হোক। কিন্তু অফিসে ঢোকার অনুমতি না পেয়ে ডিআই অফিসের গেটে নিজেরাই তালা মেরে দেন তাঁরা।
পরে হুগলি মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা, ব্যাহত হয় যান চলাচল। এক চাকরিহারা বলেন, “সরকার যদি আমাদের চাকরি ফেরাতে না চায়, তবে এই প্রতিবাদ চলবে জেলার পর জেলা জুড়ে।”
⚖️ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সরকারের অবস্থান
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হলেও রাজ্য সরকার এখনও কোনও সরকারি বরখাস্তের চিঠি দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, “যোগ্যদের পাশে থাকবে সরকার”। তবে মাঠে নামা এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন, এখনও তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছেন।
📢 আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী?
চাকরিহারারা জানিয়েছেন, এ দিন শুধু সূচনা। সামনে আরও বড় মাপের আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে।
শেষ কথা:
চাকরি হারানো শিক্ষকদের চোখে এখন শুধু একটা প্রশ্ন—“আমরা কী দোষ করলাম?” যাঁরা কাল পর্যন্ত ক্লাস নিতেন, আজ তাঁদের হাতে লাঠি খেতে হচ্ছে, তালা ভাঙতে হচ্ছে। এ যেন এক শিক্ষিত সমাজের নীরব আর্তনাদ! 📚💔
পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?