তমন্না-বিজয়ের বিচ্ছেদের নেপথ্যে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’?
দু’বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষ! তমন্না ভাটিয়া এবং বিজয় বর্মার বিচ্ছেদের খবরে যখন বি-টাউন তোলপাড়, তখন সামনে আসছে এক নতুন মোড়। শুধুই কি বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধ? না কি এই ভাঙনের পেছনে আছে অন্য এক ‘গভীর’ কারণ?
সম্পর্ক ভাঙার ছুতো—বিয়ে?
ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, তমন্না চেয়েছিলেন সম্পর্ককে পরিণতি দিতে—বিয়ে করে স্থায়ী হতে। কিন্তু বিজয় তখনও প্রস্তুত নন। এই নিয়েই দূরত্ব তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। এক সময় সেই ফাঁক এতটাই বেড়ে যায় যে, এক ছাদের নিচে থেকেও হয়ে ওঠে দুটি আলাদা পথের যাত্রী।
তবে তৃতীয় ব্যক্তির ছায়া?
ঠিক এখানেই গল্পে টুইস্ট। বলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তমন্নার একান্ত কাছের একজন—দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর প্রভাবেই নাকি সম্পর্ক ভাঙার খবর সামনে আনেন অভিনেত্রী। শুধু ঘনিষ্ঠ নয়, চিরঞ্জীবী তমন্নার জীবনে অভিভাবকস্বরূপ একজন। কিছু পরিস্থিতিতে তাঁর পরামর্শই গুরুত্ব পায় সর্বাধিক। আর এই বিষয়েও তিনিই নাকি তমন্নাকে বলেছেন—চুপ না থেকে সত্যিটা জানাতে।
বাবা-ও ছিলেন সম্পর্কের বিরুদ্ধে?
সূত্রের আরও দাবি, তমন্নার বাবা-ও নাকি বিজয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কে পুরোপুরি সমর্থন জানাতে পারেননি। ফলে একাধিক স্তরে চাপ তৈরি হচ্ছিল এই সম্পর্কের উপর। তবে ভাঙনের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলেননি কেউই—না তমন্না, না বিজয়।
আলাদা হলেও, এখনও কি ভালোবাসা আছে?
এক জ্যোতিষী দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে এখনও আবেগ রয়ে গিয়েছে। রং খেলায় তাঁরা একসঙ্গে অংশ নেন, যদিও আলাদা আলাদা ভাবে। সম্প্রতি রবীনা টন্ডনের বাড়িতে তাঁর মেয়ে রাশার সঙ্গে হোলি খেলেন দু’জন। সেই জ্যোতিষীর মতে, ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে পুনর্মিলনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
প্রথম প্রেমের শুরু হয়েছিল ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এ
এই জুটির প্রেম শুরু হয়েছিল ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এর সেটে। এক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়েই তাঁরা কাছে এসেছিলেন। ছবির মতোই বাস্তবেও তাঁদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠান হোক বা অ্যাওয়ার্ড ফাংশন—হাতে হাত ধরে হাজির হতেন তাঁরা, ক্যামেরার সামনে ছিলেন সাবলীল। তাঁদের জুটিকে ঘিরে দর্শকের উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে।
শেষ কথা
প্রেমের গল্প যেমন হঠাৎ শুরু হয়, তেমনই আচমকাই শেষ হয় কখনও কখনও। তমন্না ও বিজয়ের সম্পর্কও হয়তো তারই এক উদাহরণ। তবে তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শ, অভিভাবকদের আপত্তি এবং ব্যক্তিগত মতবিরোধ মিলিয়ে এই সম্পর্কের ছন্দপতন যেন আরও একবার মনে করিয়ে দেয়—তারকাদের জীবনেও সম্পর্কের রসায়ন সহজ হয় না। এখন দেখার, ভবিষ্যতে কি ফের কাছাকাছি আসেন তমন্না-বিজয়, নাকি এই বিচ্ছেদই তাঁদের জীবনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থেকে যায়।