ডুরান্ড কাপে গোলবৃষ্টি!
ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনাকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করল লাল-হলুদের ব্রিগেড। একতরফা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যেমন দাপট দেখাল, তেমনই গোল মিসের অভ্যাস যেন আবার মাথাচাড়া দিল। স্কোরলাইনটা যেমন জয়ের কথা বলছে, পারফরম্যান্স কিন্তু বলছে— ১০ গোলেও জেতা যেত!
খেলার শুরু থেকেই দাপট
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। কোচ অস্কার ব্রুজো মাঠে নামান তিন বিদেশিকে। প্রথম থেকেই বলের দখল, গতি, ছন্দ— সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই আসে প্রথম গোল। ডান দিক থেকে এডমুন্ড লালরিনডিকার পাসে হেড করে গোল করেন হামিদ আহদাদ। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন এই মরক্কোর স্ট্রাইকার। কিন্তু একের পর এক সহজ সুযোগ তিনি নষ্ট করেন।
হামিদের পাশাপাশি সুযোগ মিসের তালিকায় নাম লেখান বিপিন সিংহও। একবার ব্যাকহিল না করে বল কাটাতে গিয়ে, আবার কখনও গোলের সামনে পা না ছোঁয়াতে পারায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় আক্রমণ।
দ্বিতীয় গোল ও স্বস্তি
অবশেষে ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন বিপিন সিংহ, একক কৃতিত্বে। একা ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে সুন্দর শটে বল পাঠান জালে। এরপরেও আরও সুযোগ আসে, কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। বরং প্রথমার্ধের একমাত্র সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল শোধ করে বসে বায়ুসেনা। বাঁদিক থেকে আসা ক্রস হেড করে গোলে পরিণত করেন আমন খান।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে ছন্দ
বিরতির পরও ইস্টবেঙ্গল দম দেয়নি। আবারও আক্রমণ শুরু হয়। ৬৪ মিনিটে আনোয়ার আলি হেডে তৃতীয় গোলটি করেন কর্নার থেকে। বল গোলকিপারের হাত স্পর্শ করে জালে ঢোকে। এরপর চার মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে মহম্মদ রশিদ করেন চতুর্থ গোল, দূরপাল্লার দুরন্ত শটে।
তালিকায় যোগ দেন সাউল ক্রেসপো ও ডেভিড লালানসাঙ্গা, যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ গোল করেন ম্যাচের শেষদিকে।
তৃপ্তি নয়, চিন্তা বাড়াল জয়
৬-১ গোলের জয় হলেও কোচ ব্রুজো খুশি হতে পারছেন না। কারণ একটাই— গোলের সুযোগ কাজে না লাগানোর পুরনো রোগ আবার দেখা দিল। মরসুমের শুরুতেই এই প্রবণতা নিয়ে চিন্তিত কোচিং স্টাফ। বড় দলের বিরুদ্ধে খেলতে গেলে এই সুযোগ হাতছাড়া করলে সেটার খেসারত দিতে হতে পারে।
সামনে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন
ডুরান্ডে গ্রুপের তিন ম্যাচে টানা জয় পেলেও বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরও নিখুঁত খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। দলের ছন্দ, গোলের পরিসংখ্যান সব ঠিক থাকলেও ফিনিশিংয়ে ধার ফেরাতে না পারলে সমস্যা হতে পারে সামনের নক-আউট পর্বে।
শেষ কথা, রবিবার ইস্টবেঙ্গলের মাঠ কাঁপানো পারফরম্যান্স চোখে পড়লেও, প্রতিটি মিসড চান্স কোচের মাথায় যেন অদৃশ্য দাগ কেটে গেল। জয় বড় কথা হলেও, নিখুঁত ফুটবল না হলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না— সেটাই যেন মনে করিয়ে দিল এই ম্যাচ।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন অভ্যাস শুরু করেছেন সোহা আলি খান, শরীর ভালো রাখতে খালি পেটে কী খান তিনি?

