Saturday, May 10, 2025

“ডিসেম্বরের মধ্যেই চাই ভোট”: বাংলাদেশজুড়ে পথে নামছে বিএনপি, চাপের মুখে ইউনূস সরকার

Share

ডিসেম্বরের মধ্যেই চাই ভোট!

বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি নিয়ে ফের রাস্তায় নামতে চলেছে বিএনপি। দীর্ঘ দিন ধরে ভোটের জন্য হাক পেরে এলেও তেমন সাড়া মেলেনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে। বরং ভোট পেছানোর ইঙ্গিত দিয়ে চলেছেন তিনি, যা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে খালেদা জিয়ার দলের অন্দরে।

সম্প্রতি চিন সফরে যাওয়ার আগে ইউনূস জানান, ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এই ধোঁয়াশাপূর্ণ ঘোষণায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। তাদের দাবি, ভোটে দেরি নয়—এই বছরের মধ্যেই নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। না হলে তারা দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আন্দোলনে নামার আগে তাঁরা শেষবারের মতো ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তাঁর কথায়, “আমরা নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসব। শরিক দলগুলিকেও সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করে জনগণের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেব।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, “নির্বাচনের কোনও রোডম্যাপ নেই। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক ব্যর্থতার প্রতিফলন। রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভব। ভোট ছাড়া তার কোনও বিকল্প নেই।”

প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট দেশজুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তখন বলা হয়েছিল, দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার সম্পন্ন করে খুব শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সময় গড়িয়েছে, সংস্কার আংশিক হলেও ভোটের তারিখ নেই। এতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একপ্রকার হতাশা ও রাগ জমেছে।

বিএনপির মতে, দেশের যে সমস্ত জরুরি সংস্কার এখনো হয়নি, তা নতুন নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শুধু একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনূস সরকার যেন ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাইছে বলেই তাদের অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে বিএনপি জেলায় জেলায় আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে। প্রত্যেক শহরে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার নিয়ে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি, ইউনূস সরকারের উপর চাপ তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য।

সার্বিক পরিস্থিতিতে স্পষ্ট, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট না হলে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে। একদিকে বিএনপির রাস্তায় নামার প্রস্তুতি, অন্যদিকে ইউনূসের সময় নেওয়ার কৌশল—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। জনগণের চোখ এখন শুধু একটাই প্রশ্নে—নির্বাচন কবে?

স্ট্রেস কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে মাসাজ, তবে সাবধানে নিতে হবে এই সিদ্ধান্ত

Read more

Local News