Monday, May 12, 2025

ডানকুনিতে শুরু সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন: মিষ্টি, মার্ক্স আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ‘মোর’

Share

ডানকুনিতে শুরু সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন!

হুগলির ডানকুনিতে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। প্রায় আড়াই দশক পর কলকাতার বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন, যেখানে দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি থাকছে মার্ক্সবাদী আদর্শের আলোচনা, ভোট রাজনীতির বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক পুনরুত্থানের পরিকল্পনা। তবে শুধু আদর্শচর্চাই নয়, প্রতিনিধি আপ্যায়নে থাকছে হুগলির বিখ্যাত জলভরা, রাবড়ি, মনোহরা-সহ নানা ধরনের মিষ্টিও!

মার্ক্সবাদ থেকে মিষ্টি— সব কিছুর মেলবন্ধন!

সিপিএমের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ খুঁজতে ডানকুনির সম্মেলনে মার্ক্সবাদ থাকবে, মিষ্টিও থাকবে, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থাকবে ‘মোর’— অর্থাৎ আরও বেশি সমর্থন, আরও ভালো ফলের পরিকল্পনা। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতিতে শূন্যদশা কাটানোর রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যেই বসছে এই সম্মেলন

তিনদিনের এই সম্মেলনে প্রতিনিধি আপ্যায়নে থাকবে হুগলির বিখ্যাত মিষ্টি।

  • চন্দননগরের জলভরা
  • উত্তরপাড়ার ঘট মিষ্টি
  • জনাইয়ের মনোহরা
  • বিখ্যাত রাবড়ি

এই সব কিছু দিয়ে সম্মেলনের অতিথিদের আপ্যায়ন করা হবে। তবে দলের একাংশের প্রশ্ন— এত আয়োজন কি বাস্তবসম্মত? রাজনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য কি শুধু মিষ্টি দিলেই হবে?

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্মেলন

রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ডানকুনির বিভিন্ন হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউসে। দিল্লি রোড ও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে থাকা কমলা ইন, গোল্ডেন ইন, অলিম্পাসের মতো ১৫টিরও বেশি হোটেল কার্যত সিপিএমের দখলে চলে গেছে

রাজ্য সম্মেলনে মূলত বুথ স্তরের সংগঠনের দুর্বলতা, নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং ২০২৬ সালের ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার নির্বাচনী বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে

নেতৃত্বে আসতে পারে বড় পরিবর্তন

সম্মেলনের শেষ দিনে, মঙ্গলবার নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করা হবে। সিপিএমের গুঞ্জন অনুযায়ী,

  • বয়সের কারণে অনেক প্রবীণ নেতাকে ‘মার্গদর্শক’ করা হতে পারে
  • নতুন মুখ আসতে পারে রাজ্য কমিটিতে
  • দলের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বুথ স্তরের সংগঠন মজবুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে

নজর ২০২৬-এর নির্বাচনে

সিপিএম গত কয়েকটি নির্বাচনে একটিও আসন জিততে পারেনি। ফলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য, কীভাবে ভোটব্যাংক পুনরুদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করা

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— শুধু মার্ক্সবাদ আর মিষ্টি দিয়ে কি ভোটের ময়দানে ফেরানো যাবে সিপিএমকে? নাকি নতুন কিছু কৌশল নিয়ে পথ চলতে হবে? ডানকুনির সম্মেলন সেই পথ দেখাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।

গবেষণার আড়ালে সামরিক পরিকল্পনা? সমুদ্রের গভীরে চিনের রহস্যময় কেন্দ্র ঘিরে উদ্বেগ

Read more

Local News