সইফের উপর হামলা
গত রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের বাসায় ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। রাতের অন্ধকারে, যখন সইফ তাঁর পরিবারের সঙ্গে গভীর ঘুমে ছিলেন, তখন এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ঘরেই ঢুকে পড়ে এবং সইফকে হামলা করে। এই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সবার মনে এক প্রশ্ন উঠেছে—ডাকাতির আগের রাতে কোথায় ছিলেন করিনা কপূর খান?
মঙ্গলবার রাত ২টা নাগাদ সইফের বাসায় আক্রমণ চালায় এক দুষ্কৃতী। এই সময় সইফ ঘুমাচ্ছিলেন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। তবে, সইফকে আক্রমণ করার পর কী ঘটেছিল, তা জানিয়ে পুলিশ সূত্রে খবর, সইফের উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তার পরেই তাকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর সইফ বর্তমানে বিপন্মুক্ত।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই সবার মনোযোগ ছিল করিনা কপূরকে নিয়ে। সেই রাতে কোথায় ছিলেন তিনি? সইফের ঘরে হামলা ও ডাকাতির চেষ্টা যখন ঘটছিল, তখন করিনা ছিলেন এক অনুষ্ঠানে। জানা গেছে, করিনা ওই রাতে তাঁর “গার্ল গ্যাং”-এর সঙ্গে একটি হাউস পার্টি করছিলেন। সোনম কপূর এবং রিয়া কপূরের সঙ্গে একটি পার্টি ছিল, যেখানে করিশ্মা কপূরও উপস্থিত ছিলেন। পার্টিটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রিয়া কপূরের বাড়িতে, এবং সেই সময় করিনা তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পার্টির কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেই ছবিতে সোনম, করিনা, করিশ্মা ও রিয়া একসঙ্গে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন।
পার্টি শেষে, যখন করিনা বাড়ি ফিরছিলেন, তখন মধ্যরাতে সইফের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। করিনার পার্টি শেষে ফেরার আগেই ঘটে এই দুর্ঘটনা, যার ফলে কিছুটা অস্বস্তি এবং চিন্তা তৈরি হয় তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে। তবে, করিনা সইফের সুস্থতা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাঁর পরিবার নিরাপদ রয়েছে।
মুম্বই পুলিশ এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, এই তিন সন্দেহভাজন সইফের বাড়ির কর্মচারী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছিল এবং এক সময় সইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তবে, যে ব্যক্তি সইফকে আঘাত করেছে, সেই ব্যক্তির অবস্থান নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ এখনও তদন্ত করছে এবং সব তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।
আলিম্পিকতর কাজের পর, সইফ আলি খান বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং তাঁকে পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে দ্রুত আরোগ্যের শুভেচ্ছা পাঠানো হয়েছে। সবার জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল, তবে এখন তারা কিছুটা শান্তি পাচ্ছেন।
কেন আক্রান্ত হলেন সইফ! পরিচারককে বাঁচাতে গিয়েই কি হামলার মুখে পড়লেন পটৌদীর নবাব?