Tuesday, May 6, 2025

ট্রাম্প প্রশাসনের অস্বস্তি তুঙ্গে: স্ত্রীর সঙ্গে সামরিক গোপন তথ্য ভাগ করে ‘বিপাকে’ প্রতিরক্ষাসচিব!

Share

ট্রাম্প প্রশাসনের অস্বস্তি তুঙ্গে!

আবারও বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার আগেই, সেই সংক্রান্ত গোপন তথ্য নিজের স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে গেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনের হুথি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় সামরিক অভিযান চালায় আমেরিকা। কিন্তু তার অনেক আগেই হেগসেথের ব্যক্তিগত মেসেজিং অ্যাপের এক ‘গ্রুপ চ্যাট’-এ এই তথ্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। ওই গ্রুপে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, ভাই, এক আইনজীবী বন্ধু এবং আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ জন। অভিযোগ, সেই চ্যাটেই বিস্তারিত জানানো হয়, কখন, কোথা থেকে এবং কীভাবে হামলা চালানো হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ এক ভয়াবহ গাফিলতি। কারণ, প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল এমন তথ্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রাখা। কিন্তু হেগসেথ সরকারি বরাদ্দ মোবাইল ফোন না ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত ফোনে গোপন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে ‘চ্যাটিং’ করেছেন!

পুরনো ভুল, নতুন বিতর্ক

এর আগেও হেগসেথ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। একবার হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ সামরিক ‘গ্রুপ চ্যাট’-এ ভুল করে এক সাংবাদিককে যুক্ত করে বসেন তিনি। ফলে ইয়েমেনে হামলার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা আগেভাগেই ফাঁস হয়ে যায়। তখন ট্রাম্প যদিও তাঁকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও জটিল।

নতুন অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংবাদিককে গ্রুপে যুক্ত করার সময়কালেই স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গেও একই বিষয়ে আলোচনা করেন হেগসেথ। এই ঘটনায় প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। হেগসেথের স্ত্রীর ক্ষেত্রেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কারণ তিনি ফক্স নিউজের প্রাক্তন প্রযোজক। এনওয়াইটি-র দাবি, তিনি স্বামীর সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

‘ডিফেন্স। টিম হাড্‌ল’ নামক চ্যাট গ্রুপে কী চলছিল?

হেগসেথের এই ‘গ্রুপ চ্যাট’-এর নাম ছিল ‘ডিফেন্স। টিম হাড্‌ল’। এতে অন্তত ১২ জন সদস্য ছিলেন। সূত্রের দাবি, এই চ্যাটে কীভাবে কোন মার্কিন যুদ্ধবিমান ইয়েমেনে হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাবে, তা একাধিকবার আলোচিত হয়েছে।

প্রশাসনের উদ্বেগ ও সমালোচনা

এই ঘটনার পর হেগসেথকে নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অস্বস্তি তুঙ্গে। পেন্টাগনের মতো একটি সংবেদনশীল দফতরের অভ্যন্তরীণ তথ্য বাইরে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনের দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, আধিকারিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সেই ফাঁস হওয়া ‘চ্যাট’ সংরক্ষণ করতে হবে। এবার নতুন রিপোর্ট সামনে আসায় ফের আদালতের নজরদারিতে পড়তে পারেন হেগসেথ।

ট্রাম্প আবারও কি প্রতিরক্ষাসচিবকে রক্ষা করবেন, নাকি রাজনৈতিক চাপের মুখে তাকে বলি দেবেন, তা এখন সময়ই বলবে। তবে একাধিক গোলোযোগের পর প্রশ্নটা জোরালো হচ্ছে—এভাবে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হলে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?

বাঙালির পাতে ভাত নয়, থাকবে ঘি-মাখন-প্রোটিন! ডায়াবেটিস আর মোটা হওয়া আটকাবে এই নতুন ডায়েটেই?

Read more

Local News