ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের আগে এক নতুন চমক দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নতুন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি কার্যকর হলে বদলে যেতে পারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমীকরণ।
এই নীতির ফলে মার্কিন পণ্যের দাম কমতে পারে, তবে ভারতের অর্থনীতির উপর এর প্রভাব কী হবে? ভারতের বাজারে সস্তায় আমেরিকান পণ্য আসবে, কিন্তু তার ফলে দেশীয় শিল্প ও কৃষি কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
📌 কী এই ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি?
শুল্ক (Tariff) হল আমদানি করা পণ্যের উপর সরকার-নির্ধারিত কর। ভারত থেকে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করতে গেলে কর দিতে হয়, তেমনি আমেরিকান পণ্যও ভারতে ঢুকতে গেলে শুল্ক দিতে হয়।
ট্রাম্পের নতুন নিয়ম বলছে:
✅ ভারত যদি মার্কিন পণ্যের উপর ১০% শুল্ক নেয়, আমেরিকাও ভারতীয় পণ্যের উপর একই পরিমাণ শুল্ক বসাবে।
✅ বর্তমানে ভারতের পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৩% শুল্ক নেয়, যা এখন ১০% হতে পারে।
✅ এর ফলে ভারতের অনেক রপ্তানি পণ্য আমেরিকায় বিক্রি করা কঠিন হয়ে যাবে।
🚨 ভারতের জন্য কি এটি ক্ষতির কারণ?
📉 ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়বে আমেরিকায়, ফলে রপ্তানি কমতে পারে।
📉 দেশীয় শিল্পে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে, কারণ আমেরিকান পণ্য কম দামে ভারতে পাওয়া যাবে।
📉 ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্প ধাক্কা খেতে পারে, কারণ দেশীয় উৎপাদকদের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠবে।
✅ ভারতের লাভ কী হতে পারে?
🛢️ তেল ও গ্যাস আমদানি কম খরচে সম্ভব হবে।
🛡️ সস্তায় মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার সুযোগ বাড়বে।
💵 ডলারের তুলনায় টাকার মান হয়তো কমবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।
🔥 ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য কী?
✅ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।
✅ বিদেশি সংস্থাগুলোকে আমেরিকায় উৎপাদন করতে উৎসাহিত করা।
✅ নির্বাচনের আগে আমেরিকান নাগরিকদের কাছে নিজেকে ‘সত্যিকারের নেতা’ প্রমাণ করা।
📊 ভারতের ভবিষ্যৎ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বড় পরিবর্তন একবারে সম্ভব নয়। ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদা চুক্তি করবেন, যেখানে শুল্কের ছাড়ও থাকতে পারে।
ভারতের জন্য এটি একদিকে চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সুযোগ। এখন দেখার বিষয়, মোদী সরকার কীভাবে কৌশল সাজায়!
একদিনেই ২০ লাখ অনুগামী হারালেন! বিতর্কের কেন্দ্রে ইউটিউবার রণবীর ইলাহাবাদিয়া, কত আয় করেন তিনি?