Tuesday, March 4, 2025

ট্রাম্পের চোখে ইউক্রেন ‘শত্রু’? জ়েলেনস্কির প্রতি বিদ্বেষের নেপথ্যে কোন কারণগুলি রয়েছে?

Share

ট্রাম্পের চোখে ইউক্রেন ‘শত্রু’?

ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জ়েলেনস্কির উত্তপ্ত বাদানুবাদ এখন গোটা বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এক দিকে টানা তিন বছর ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ, অন্য দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কিয়েভ-বিরোধী মনোভাব, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। কিন্তু ট্রাম্পের ইউক্রেন-বিদ্বেষের আসল কারণ কী? কেনই বা তিনি জ়েলেনস্কির সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি নন?


🔥 ট্রাম্প-জ়েলেনস্কি দ্বন্দ্ব: কোথা থেকে শুরু?

📅 ২০১৯ সালে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে এই বৈরিতা।
📌 ওই বছরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ইউক্রেনকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করেছেন।
📌 ডেমোক্র্যাটরা দাবি করে, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
📌 এর জেরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ (অভিশংসন) প্রক্রিয়া শুরু হয়, যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে বহাল থাকেন।

এই ঘটনার পর থেকেই ট্রাম্পের চোখে ইউক্রেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ হয়ে ওঠে।


⚡ কেন ইউক্রেনকে অপছন্দ করেন ট্রাম্প?

১️⃣ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইউক্রেনের ভূমিকা

📌 ট্রাম্প মনে করেন, ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে বাইডেনকে জেতাতে গোপনে কাজ করেছে ইউক্রেন।
📌 কিয়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ট্রাম্পকে হারানোর জন্য বাইডেনের প্রচারে সাহায্য করেছিল।
📌 যদিও ইউক্রেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষোভ কমেনি।

2️⃣ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকার অর্থ সাহায্য

📌 ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই আমেরিকা কিয়েভকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দিয়েছে।
📌 ট্রাম্প মনে করেন, এই সাহায্য পুরোপুরি অর্থের অপচয় এবং ইউক্রেনকে সাহায্য করা বন্ধ করা উচিত।
📌 তিনি বারবার বলেছেন, “আমরা ইউক্রেনের ব্যাঙ্ক নয়, নিজেদের জনগণের দিকে নজর দেওয়া উচিত।”

3️⃣ পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের সফট কর্নার?

📌 ট্রাম্প বহুবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন, যা আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি করেছে।
📌 অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্প পুতিনের ঘনিষ্ঠ হতে চান এবং সে কারণেই ইউক্রেনের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন।


🔥 ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়: কী ঘটেছিল?

📅 ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – ট্রাম্প ও জ়েলেনস্কির ঐতিহাসিক বৈঠক
📌 ওভাল অফিসে শান্তি চুক্তি ও খনি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প ও জ়েলেনস্কি।
📌 প্রথমেই ট্রাম্প অভিযোগ করেন, “আমেরিকা ইউক্রেনকে ৩০ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে, কিন্তু কিয়েভ তার সদ্ব্যবহার করেনি।”
📌 জ়েলেনস্কি পাল্টা বলেন, “আমরা অত টাকা পাইনি, আপনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন।”
📌 এই কথা শুনেই ট্রাম্প ক্ষেপে যান এবং চিৎকার করে বলেন, “আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন!”
📌 জ়েলেনস্কি পাল্টা বলেন, “আপনি পুতিনের হয়ে কথা বলছেন, রাশিয়ার মিথ্যা প্রচার করছেন।”

এরপরই বৈঠক ভেস্তে যায় এবং দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরের সঙ্গে করমর্দন না করেই বেরিয়ে যান।


⚠️ ট্রাম্পের ক্ষোভের ভবিষ্যৎ প্রভাব

🔴 আমেরিকা কি ইউক্রেনকে সাহায্য করা বন্ধ করবে?

📌 ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ বাজেটে কাটছাঁট শুরু করেছেন।
📌 ভবিষ্যতে যদি ট্রাম্প আরও কঠোর হন, তবে ইউক্রেনের অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য বন্ধ হতে পারে।

🔴 পুতিনের সুবিধা হবে?

📌 আমেরিকার সাহায্য বন্ধ হলে রাশিয়া আরও সহজেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।
📌 পুতিনের লক্ষ্য ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ দখল করা, যা ট্রাম্পের অবস্থানের কারণে সহজ হয়ে যেতে পারে।


🤔 শেষ কথা: ট্রাম্প কি সত্যিই ইউক্রেন-বিরোধী?

📢 বিশেষজ্ঞদের মতে,
✔️ ট্রাম্প ব্যবসায়িক ও কৌশলগত দিক থেকে ইউক্রেনকে লাভজনক মনে করেন না।
✔️ তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান, তাই ইউক্রেনের পক্ষে নন।
✔️ এছাড়া, ইউক্রেন অতীতে ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলেছিল, যা তিনি ভুলতে পারেননি।

ট্রাম্পের মনোভাব ইউক্রেনের ভবিষ্যতের জন্য কতটা বিপজ্জনক, তা সময়ই বলবে!

💬 আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন, ট্রাম্প সত্যিই ইউক্রেন-বিরোধী নাকি তিনি কেবল নিজের দেশের স্বার্থই দেখছেন? মতামত জানান

‘প্যাক-ফ্যাক’ থেকে ‘আমার আইপ্যাক’— কেন বদলে গেল মমতার অবস্থান?

Read more

Local News