Thursday, May 1, 2025

ট্রাম্পের ইউটার্ন! শুল্কে ছাড় নয়, চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে ফের ঘুরল আমেরিকার নীতি

Share

ট্রাম্পের ইউটার্ন!

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পুরোপুরি বদলে গেল আমেরিকার বাণিজ্যিক বার্তা। শুক্রবার মোবাইল, কম্পিউটার ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্যে শুল্কছাড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। এতে অনেকেই ভেবেছিলেন—চিনের উপর বোধহয় কিছুটা নরম হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু রবিবার সেই সম্ভাবনায় নিজের হাতেই ইতি টানলেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিলেন, কোনও পণ্যে কোনও শুল্কছাড় দেওয়া হয়নি, বরং চিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন তিনি।


চিনকে ছাড় নয়, বরং কড়া বার্তা

ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন,
“ভারসাম্যহীন বাণিজ্যের জন্য কাউকে রেয়াত করা হবে না। চিন তো একেবারেই নয়। ওরাই সবচেয়ে খারাপ আচরণ করেছে আমাদের সঙ্গে।”

তিনি আরও বলেন,
“শুক্রবার কোনও শুল্কছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি। বরং এই পণ্যগুলোর উপর আগে থেকেই যে ২০% শুল্ক ছিল, সেটাই জারি থাকবে। কিছু পণ্য নতুনভাবে একাধিক শুল্কনীতির আওতায় আনা হচ্ছে মাত্র।”

যাঁরা শুল্কছাড়ের খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁদের ‘ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ট্রাম্প।


কী ছিল শুক্রবারের ঘোষণায়?

শুক্রবার (ভারতীয় সময়ে শনিবার) আমেরিকার শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দফতর একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের মতো কিছু প্রযুক্তিপণ্যে আপাতত নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হবে না। এই ঘোষণায় ধরে নেওয়া হয়েছিল, চিন থেকে আমদানি হওয়া এইসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

তবে রবিবার ট্রাম্প নিজেই সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন। ফলে এটা পরিষ্কার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিনের সঙ্গে কোনও আপসের পথে হাঁটছেন না।


ট্রাম্প বনাম চিন: শুল্ক যুদ্ধের নতুন মোড়

চিনের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫% করে দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা চিন ১২৫% শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন পণ্যের উপর।

এদিকে ভারতের পণ্যে শুল্ক ২৬% পর্যন্ত বাড়ানো হলেও ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সেই নীতি। তবে হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্তে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে সেই শুল্কবৃদ্ধি—তবে চিনের ক্ষেত্রে নয়।


জাতীয় সুরক্ষা ও নির্বাচনী প্রচার

শুল্কনীতি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “সেমিকন্ডাক্টর-সহ সব প্রযুক্তিপণ্যের উৎস খতিয়ে দেখা হবে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে।”

তিনি আরও যোগ করেন,
“আমরা আবার আমেরিকাকে মহান করে তুলব। আমাদের দেশ আরও বড়, আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”

এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, শুল্কনীতি কেবল বাণিজ্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আসন্ন নির্বাচনের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ারও হয়ে উঠেছে ট্রাম্পের কাছে।


উপসংহার

প্রথমে ছাড়ের ইঙ্গিত, পরে ফের কঠোর বার্তা—ট্রাম্পের এই নীতিগত ঘুরপথে বিভ্রান্ত আমেরিকান ব্যবসায়ী মহল এবং আন্তর্জাতিক বাজার। তবে একেবারে পরিষ্কার, চিনের উপর রেয়াত নয়, বরং চাপের কৌশলেই চলছে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি।
এই অবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্যে আমেরিকার ভূমিকা কতটা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে, সেটাই এখন দেখার।

অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ, আর ইউসুফ পঠান ‘ফুরফুরে চা’-এ মশগুল! ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

Read more

Local News