Monday, February 24, 2025

ট্রাম্পের অনুদান স্থগিত: বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণসঙ্কট, সতর্ক রাষ্ট্রপুঞ্জ

Share

ট্রাম্পের অনুদান স্থগিত!

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্থিক অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে এইডস আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এইডসে মারা যেতে পারেন

কেন গুরুত্বপূর্ণ এই অনুদান?

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যখাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ (USAID)-এর মাধ্যমে অনুদান দিয়ে এসেছে। এই অনুদানের লক্ষ্য ছিল—

এইডস ও অন্যান্য মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা
স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নত করা
অসহায় রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: কী বন্ধ হচ্ছে?

🔴 তিন মাসের জন্য এই অনুদান সম্পূর্ণ স্থগিত রাখা হয়েছে
🔴 নির্দিষ্ট কিছু জীবনদায়ী ওষুধ ছাড়া বাকি চিকিৎসা সহায়তা বন্ধ করা হচ্ছে
🔴 বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি এইডস রোগী এই অনুদান থেকে উপকৃত হতেন, যা এখন বন্ধ

কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও বিশেষজ্ঞরা?

রবিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের রোগ নিরাময় সংক্রান্ত অভিযানের প্রধান সরাসরি সতর্ক করে বলেন, “আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।”

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এইডস নিরাময় সংস্থা জানিয়েছে—

✔️ এই অনুদানের ওপর নির্ভর করতেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ
✔️ আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যু হতে পারে
✔️ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যসেবা ইতিমধ্যেই ব্যাহত হচ্ছে

তবে, ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, কিছু জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে অনুদান বন্ধ করা হবে না

রাজনৈতিক প্রভাব ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এটি শুধু স্বাস্থ্যখাতে নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব ফেলছে
আমেরিকা শুধু স্বাস্থ্য নয়, বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী ও রাজনৈতিক কাঠামো উন্নত করতে বছরে ৪৮.৬ কোটি ডলার অনুদান দিত। কিন্তু এবার সেই বাজেটও কাটছাঁট করা হচ্ছে

উদাহরণস্বরূপ, জো বাইডেনের আমলে শুধুমাত্র ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২.১ কোটি ডলার (প্রায় ১৮২ কোটি টাকা), যা এবার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শেষ কথা

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়, মানবিক সংকটও তৈরি করতে পারে। বিশ্বজুড়ে এইডস আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন সরাসরি মৃত্যুর ঝুঁকিতে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এখন দেখার, ট্রাম্প প্রশাসন এই অবস্থান পরিবর্তন করে কিনা।

মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?

Read more

Local News