Monday, December 1, 2025

টিআরএফ-কে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় চায় ভারত, নিরাপত্তা পরিষদে জমা পড়ল প্রমাণ

Share

টিআরএফ-কে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় চায় ভারত!

কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নষ্ট করতে পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) বারবার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। এবার তাদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির কাছে টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

এর জন্য ভারত একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে নিউইয়র্কে, যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট দফতরে TRF-এর কার্যকলাপ এবং পাকিস্তানের মদতে সংগঠনটির বিকাশ সংক্রান্ত নানা তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে। এই প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবিরোধী দফতরের সঙ্গেও সরাসরি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের ঠিক পরপরই প্রকাশ্যে আসে TRF। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এটি আসলে লস্কর-ই-তইবারই ছদ্মবেশী রূপ। পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়াতে নতুন নামে, নতুন মুখোশে কার্যত সেই পুরনো জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালানোর পরিকল্পনার ফলই TRF।

সম্প্রতি পহেলগামে এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় দু’বার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় টিআরএফ। তবে পরে তারা আবার নিজেদের বক্তব্য পাল্টে নতুন এক বিবৃতি দেয়, যেখানে হামলার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করে। এই ‘মুড়ি খেয়ে চিঁড়ে’ খেলা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্য, পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপে TRF নিজেদের দায় অস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।

ভারতের বক্তব্য আরও শক্তিশালী হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে, যেখানে পাকিস্তানকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়—পহেলগামের ঘটনায় লস্কর বা TRF-এর হাত আছে কি না। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে বলা হয়েছে।

টিআরএফের মূল উদ্দেশ্য, কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো। গত কয়েক বছরে তারা বেশ কয়েকটি নাশকতামূলক হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারত দাবি করছে, সংগঠনটি শুধুমাত্র সন্ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই গঠিত এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য এটি একটি বড় হুমকি। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের ১২৬৭ নম্বর সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা তালিকায় TRF-কে যুক্ত করাই এখন ভারতের অন্যতম অগ্রাধিকার।

রাষ্ট্রপুঞ্জ যদি TRF-কে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়বে। একই সঙ্গে টিআরএফ-এর তহবিল, চলাফেরা এবং সহযোগী সংগঠনগুলির উপরও কড়াকড়ি আরোপ করা যাবে।

বিরাটের বিদায়ের পর অনুষ্কার আবেগ, ব্যথিত মাইকেল ভন ও ক্রিকেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

Read more

Local News