Friday, January 31, 2025

টানা জয়ে ফর্মে ইস্টবেঙ্গল, কোয়ার্টার ফাইনালে লাল-হলুদ!

Share

টানা জয়ে ফর্মে ইস্টবেঙ্গল

আইএসএলের টানা ছ’টি ম্যাচে হারার পরও বিদেশের মাটিতে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনল ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে লেবাননের ক্লাব নেজমেহ এফসি-কে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল তারা। এ জয় শুধু আত্মবিশ্বাস বাড়ায়নি, ইস্টবেঙ্গলকে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তালাল-দিয়ামানতাকোসের দুর্দান্ত ফর্মে জয়

ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে এ ম্যাচে সবচেয়ে বড় দিক ছিল মাদিহ তালাল ও দিয়ামানতাকোসের অসাধারণ পারফরম্যান্স। এদিন দু’টি গোল করেন দিয়ামানতাকোস, যার মধ্যে একটি আত্মঘাতী। এই ফর্ম যদি তারা আইএসএলেও বজায় রাখতে পারে, তবে দলের জয়ের আশা অনেকটাই বাড়বে। তালাল নিজে না গোল করলেও তার পাসগুলো দিয়ামানতাকোসকে গোলের সুযোগ এনে দিয়েছে। এছাড়া, এ ম্যাচে তিনটি গোলের পেছনেই তার অসামান্য অবদান ছিল।

চোটের সত্ত্বেও ইয়ুস্তে মাঠে, তবে ফর্মে নেই

ম্যাচ শুরুর আগে চোটের কারণে হেক্টর ইয়ুস্তের খেলা নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু ব্রুজো তাকে প্রথম একাদশেই রেখেছিলেন। তবে ম্যাচ চলাকালীন ইয়ুস্তের গতি ও চপলতায় কিছুটা ঘাটতি দেখা যায়, যা তার চোট পুরোপুরি না সারা থাকার ইঙ্গিত দেয়। এ কারণে ইস্টবেঙ্গল দু’টি গোল হজম করেছে এবং আরও একটি গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল বিপক্ষ।

আত্মবিশ্বাসী শুরু, তবুও কিছু ভুল

ম্যাচের প্রথম দিকে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। মাত্র আট মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। তালালের কর্নারে নেজমেহর বাবা মুসা ভুল করে নিজ দলের জালে বল জড়িয়ে দেয়, যা ছিল ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে প্রথম গোল। এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয় তারা, এবং ১৫ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে তালালের নিখুঁত পাসে গোল করেন দিয়ামানতাকোস।

তবে এরপর ইস্টবেঙ্গল রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে, যা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাঝমাঠ থেকে আতায়ার পাসে ওপারে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণকে চমকে দেন। এরপর ইস্টবেঙ্গলকে আরও সতর্ক হয়ে খেলতে দেখা যায়, তবে ভুলের কারণে বিরতির আগেই তারা আবার গোল হজম করে। ফ্রিকিকে ওপারে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন ইয়ুস্তে, এবং সরাসরি ফ্রিকিকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনে হুসেন মোনজ়ের।

দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ, অবশেষে পেনাল্টিতে জয় নিশ্চিত

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটি গোল হজম করতে পারত ইস্টবেঙ্গল, তবে ভাগ্যের সহায়তায় তা হয়নি। ৭১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা স্বস্তি পায় যখন নেজমেহর তিনজন খেলোয়াড় ঠান্ডা এবং উচ্চতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর, এক সুযোগ কাজে লাগিয়ে তালালকে ফাউল করার কারণে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। দিয়ামানতাকোসের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।

নেজমেহর আক্রমণ, তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচের শেষ দিকে নেজমেহ একের পর এক আক্রমণ চালায়। তবে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখেন এবং গোল হজম না করেই জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে ইস্টবেঙ্গল কেবল কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পায়নি, বরং নতুন উদ্যমে আইএসএলে ভালো ফলাফলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

Read more

Local News