Monday, December 1, 2025

টানা ছ’দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা! পাক সেনার গুলি বর্ষণে পাল্টা জবাব ভারতের

Share

টানা ছ’দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা!

কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা যেন রোজই নতুন করে জ্বলছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানি সেনা ফের সংঘর্ষবিরতির শর্ত ভেঙে শুরু করেছে গুলিবর্ষণ। আর সেই উত্তেজনার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও, তাও টানা ছয়দিন ধরে।

যুদ্ধ নয়, তবুও যুদ্ধকালীন উত্তেজনা

জম্মু ও কাশ্মীরের নওশেরা, সুন্দরবনী এবং আখনুর সেক্টরে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত পাক সেনারা আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে। ভারতীয় সেনা জানায়, বিনা প্ররোচনায় এই গুলি চালানো হয়েছে। তবে ভারতও চুপ থাকেনি—প্রতিটা গুলির জবাব দিয়েছে জবাবি গুলিতে।

এর আগে, সোমবার রাতেও কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা সীমান্তে একই ধরনের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় পাকিস্তান। আখনুর সেক্টরের কাছেও গুলি চালানো হয়। সেনাবাহিনীর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—এই ধরনের যে কোনও আগ্রাসনের কড়া জবাব দেওয়া হবে।

কেন এমন আচরণ পাকিস্তানের?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে গোলাগুলি চালিয়ে মূলত জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফেরাতে চাইছে ইসলামাবাদ। সংঘর্ষের সুযোগে ভারতীয় সেনার নজর ঘুরিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের সীমান্ত পার করে দিতেই এই চক্রান্ত। তবে ভারতীয় সেনাও এবার সম্পূর্ণ প্রস্তুত, সতর্ক নজরে পাহারা চলছে নিয়ন্ত্রণরেখাজুড়ে।

কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতিতে আগুনে ঘি

পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও ফাটল ধরেছে। এই ঘটনার পরে সীমান্তে যেমন উত্তেজনা বেড়েছে, তেমনই আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলছে দুই দেশ।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন যেন সেই কূটনৈতিক চাপানউতোরেরই প্রতিচ্ছবি। ইসলামাবাদে বসেছে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক, সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তান বলেছে—যদি জলপ্রবাহ বন্ধ করা হয়, সেটি তারা যুদ্ধ হিসেবে দেখবে।

শিমলা চুক্তি নিয়েও বিতর্ক

পাকিস্তান দাবি তুলেছে, তারা চাইলে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত করতে পারে। উল্লেখ্য, এই চুক্তির মাধ্যমেই কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারিত হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুদ্ধের পরে যেই যেখানে ছিল, সেখানেই থাকবে। কিন্তু বাস্তবে বহুবার পাকিস্তান সেই চুক্তি ভেঙেছে—যার প্রমাণ এই সাম্প্রতিক সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন।

ভারতীয় সেনার অবস্থান

ভারতীয় সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা সীমান্তে যে কোনও আগ্রাসন ঠেকাতে প্রস্তুত। সংঘর্ষবিরতির প্রতিটি লঙ্ঘনের কড়া জবাব দেওয়া হবে। দেশের সুরক্ষা নিয়ে কোনও রকম আপস নয়—এটাই এখন সেনাবাহিনীর অবস্থান।

উপসংহার:
কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের উসকানিমূলক আচরণ এবং টানা ছয়দিনের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে। তবে ভারতের কড়া জবাব এবং সেনাবাহিনীর সতর্ক নজরেই রয়েছে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার আশ্বাস। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তির প্রত্যাবর্তন এখন সময়ের দাবি।

অক্ষয়তৃতীয়ায় ঐতিহ্যের সাক্ষী দিঘা! মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জগন্নাথধামে মহাযজ্ঞ, দ্বারোদ্ঘাটনের আগেই আধ্যাত্মিক আবহ

Read more

Local News