জিনপিঙের সঙ্গে ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ চান ট্রাম্প!
দক্ষিণ কোরিয়ায় ছ’বছর পর ফের মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা যেমন ছিল, তেমনি আশাবাদও কম নয়। বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্যনীতি এবং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের উপর এই সাক্ষাতের প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
🌏 ছ’বছর পর মুখোমুখি ট্রাম্প-জিনপিং
শেষবার ২০১৯ সালে দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তারপর জো বাইডেন প্রশাসনের সময়ে মার্কিন-চিনা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু ২০২৫ সালে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপই হলো কূটনৈতিক সম্পর্ক মেরামত করা।
তিনি বলেন,
“জিনপিংকে সঙ্গে পেয়ে আমি গর্বিত। ভবিষ্যতেও তাঁর সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
চিনা প্রেসিডেন্টও সুর মেলান—
“সংঘাত থাকা স্বাভাবিক, তবে সমাধানই আসল।”
⚙️ বৈঠকের মূল বিষয়: বিরল খনিজ ও শুল্কনীতি
| বিষয় | মার্কিন অবস্থান | চিনের অবস্থান |
|---|---|---|
| বিরল খনিজ রফতানি | ট্রাম্প প্রশাসন ১০০% শুল্ক আরোপের হুমকি দেয় | বেজিং আপাতত রফতানিতে লাইসেন্স ব্যবস্থা পিছিয়েছে |
| বাণিজ্যনীতি | “আমেরিকান পণ্যে অতি-শুল্ক” কমাতে হবে | “সমঝোতা ও স্থিতিশীলতা জরুরি” |
| ফেন্টানাইল ও কৃষি বাণিজ্য | সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও আমদানি শিথিল করার আলোচনা | পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস |
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় ‘আসিয়ান’ সম্মেলনের পর মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট জানান, দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক বাণিজ্য সমঝোতা হয়েছে। ফলে আপাতত ১০০% শুল্ক কার্যকর করা হচ্ছে না — যা দুই পক্ষের সম্পর্কের বরফ গলানোর ইঙ্গিত দেয়।
🧩 কূটনৈতিক ভারসাম্যের নতুন অধ্যায়
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশ্ববাণিজ্যে শুল্ক আরোপের নীতি পুনরায় জারি করেছেন। এর ফলে ইউরোপ, ভারত ও চিন — তিন দেশই চাপের মুখে।
বিশেষত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ইস্যুতে ভারত ও চিনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। তবে তাঁর দাবি,
“চিন ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে।”
অন্যদিকে, চিনও ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা চায় না আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হোক।
📈 এই বৈঠকের তাৎপর্য কী?
| সম্ভাব্য ফলাফল | বিশ্ব প্রভাব |
|---|---|
| বাণিজ্যচুক্তির পুনরুজ্জীবন | আমেরিকা-চিন বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে |
| বিরল খনিজ রফতানিতে স্থিতিশীলতা | বৈদ্যুতিক যানবাহন ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব |
| রাজনৈতিক ভারসাম্য বৃদ্ধি | যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নতুন আকার পেতে পারে |
🌍 উপসংহার
ট্রাম্প-জিনপিঙের বৈঠক শুধু দুই দেশের সম্পর্ক নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির দিকনির্দেশ স্থির করতে পারে। মার্কিন শুল্কনীতি ও চিনা কূটনৈতিক নরমভাষা — উভয়ের সমন্বয়ে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।
👉 আরও আন্তর্জাতিক আপডেট পড়ুন TechnoSports বাংলা আন্তর্জাতিক বিভাগে
এছাড়াও পড়ুন —

