জাঙ্ক ফুডের নেশা ছাড়ানো সম্ভব!
পিৎজা, বার্গার, চিকেন রোল কিংবা চাউমিন— এদের দিকে তাকালেই কি মন কেমন করে? সাত দিন কঠোর ডায়েট মেনে চললেও অষ্টম দিনে কি বাইরের খাবারের ছবি দেখলেই জিভে জল আসে? ইউটিউব খুললেই খাবারের বিজ্ঞাপন, ফেসবুক স্ক্রল করলেই ফুড ব্লগারদের নানান লোভনীয় পদ… চারদিকের এই খাবারের ভিড়ে জাঙ্ক ফুডের নেশা বাড়ছে দিন দিন।
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? ইচ্ছা করেও কেন কমানো যাচ্ছে না এই নেশা?
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকেরা জানাচ্ছেন— সমস্যার গোড়ায় রয়েছে আপনার সকালের জলখাবারের অভ্যাস!
❖ কেন বাড়ছে জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকর্ষণ?
বাইরের খাবার দেখলেই খেয়ে ফেলার ঝোঁক শুধুই চোখের লোভ নয়। গবেষকেরা বলছেন, সকালবেলার ভুল খাবারই দিনের শেষে আপনাকে বার্গার-পিৎজার দিকে ঠেলে দেয়।
হার্ভার্ড বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ বলছে—
- সকালে লুচি, পরোটা
- বেশি চিনি দেওয়া ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল
- প্যাকেটজাত জুস
- সাদা পাউরুটি
- অথবা খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট
এসব খেলে রক্তে শর্করার ওঠানামা বেড়ে যায়।
ফলে দুপুর থেকেই মস্তিষ্ক দ্রুত শক্তি চায়, আর তখনই চাহিদা পূরণের সহজ পথ— জাঙ্ক ফুড!
তাই যতই ইচ্ছাশক্তি জাগানো হোক, সকালের অস্বাস্থ্যকর খাবারই দিনের বাকি সময়টায় ‘বিঞ্জ ইটিং’-এর প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
❖ প্রোটিনই পারে জাঙ্ক ফুডের নেশা কমাতে
গবেষকদের দাবি, প্রাতরাশ যদি প্রোটিনসমৃদ্ধ হয়, তবে—
- দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে
- রক্তে শর্করা স্থির থাকে
- হঠাৎ করে খাবারের লোভ কমে
- জাঙ্ক ফুড দেখেও মন নড়ে না
অর্থাৎ, সঠিক প্রোটিনই আপনাকে বাইরের খাবারের প্রতি অযথা আসক্তি থেকে বাঁচাতে পারে।
❖ সকালের নাশতায় কতটা প্রোটিন জরুরি?
হার্ভার্ড গবেষকদের মতে, প্রাতরাশে থাকা উচিত ২০–৩০ গ্রাম প্রোটিন।
তবে বয়স, ওজন, দৈনন্দিন পরিশ্রম— সব মিলিয়ে সঠিক পরিমাণ একটু এদিক-ওদিক হতে পারে।
যদিও অনেকেই ভাবেন,
“দু’টি ডিম খেলেই তো দিনের প্রোটিন পাওয়া যায়!”
কিন্তু দু’টি ডিমে মাত্র ১২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ফলে আরও কিছু প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই যোগ করতে হবে।

