‘ছাওয়া’ দেখেই আবেগে ভাসলেন মোদী!
মরাঠা বীর ছত্রপতি সম্ভাজির জীবন নিয়ে তৈরি ছবি ‘ছাওয়া’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। সম্ভাজির সংগ্রাম, তাঁর সাহস এবং মোগল শাসকের বিরুদ্ধে তাঁর অবিচল প্রতিরোধ দেখে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। এবার এই ছবির প্রশংসায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
সম্ভাজির বীরগাথা কাহিনি ধরা পড়ল ‘ছাওয়া’-তে
শিবাজি সবন্তের জনপ্রিয় মরাঠি উপন্যাস ‘ছাওয়া’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই ঐতিহাসিক ছবি। ছত্রপতি শিবাজির পুত্র সম্ভাজি মহারাজের জীবন কেমন ছিল, কীভাবে তিনি মোগল শাসক ঔরঙ্গজ়েবের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন— সেটিই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে।
👉 সম্ভাজির চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল।
👉 সম্ভাজির স্ত্রী মহারানি যেশুবাইয়ের ভূমিকায় রশ্মিকা মন্দানা।
👉 ঔরঙ্গজ়েবের চরিত্রে রয়েছেন অক্ষয় খন্না।
ছবিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে সম্ভাজিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাঁর সামনে প্রাসাদ, সম্পদ, জীবন রক্ষা— সবকিছুর লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্ভাজি মাথা নত করেননি, বরং মরতে রাজি হয়েছেন তবুও নিজের ধর্ম, মর্যাদা এবং রাজ্যের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। এই দৃশ্যগুলি দেখেই দর্শকদের চোখে জল এসেছে।
বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য! মোদীর প্রশংসা কুড়োল ‘ছাওয়া’
১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘ছাওয়া’। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ছবিটি ২১৯.৭৫ কোটি টাকা উপার্জন করেছে! দর্শকেরা হলে গিয়ে ছবির প্রতিটি দৃশ্যে সম্ভাজির বীরত্ব, লড়াই, যন্ত্রণা এবং আত্মত্যাগ অনুভব করছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,
👉 “সমগ্র মহারাষ্ট্রই হিন্দি ও মরাঠি সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আর আজকাল তো সারা দেশে ‘ছাওয়া’ আলোড়ন তুলেছে। সম্ভাজি মহারাজের সাহসী চরিত্র শিবাজি সবন্তের উপন্যাসে ফুটে উঠেছিল, আর সিনেমাতেও সেটাই জীবন্ত হয়ে উঠেছে।”
মোদীর এই মন্তব্যের পর ছবিটির জনপ্রিয়তা আরও একধাপ বেড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও চর্চা শুরু হয়েছে, কারণ সম্ভাজির জীবন দর্শনের সঙ্গে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর আদর্শের মিল রয়েছে।
‘ছাওয়া’ কেন দেখবেন?
যাঁরা ইতিহাস ও বীরগাথার গল্প ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য ‘ছাওয়া’ নিঃসন্দেহে এক অনন্য উপহার। এই ছবিতে সম্ভাজির চরিত্র শুধু যুদ্ধজয়ী রাজা হিসেবেই নয়, বরং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং আত্মত্যাগী নেতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
👉 ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে নির্মিত ছবি, যা ভারতীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
👉 ভিকি কৌশলের অসাধারণ অভিনয়, যা বাস্তবিক অনুভূতি এনে দেয়।
👉 দৃশ্যমান ভিএফএক্স ও সিনেমাটোগ্রাফি, যা মরাঠা সাম্রাজ্যের গৌরবকে জীবন্ত করে তুলেছে।
শেষ কথা
ছবি শুধু বিনোদন দেয় না, কখনও কখনও ইতিহাসের সাক্ষী করায়, আমাদের শিকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। ‘ছাওয়া’ তেমনই এক সিনেমা, যা একজন মহান শাসকের আত্মত্যাগের কাহিনি তুলে ধরে। মোদীর প্রশংসা এবং বক্স অফিস সাফল্য প্রমাণ করছে, এই গল্প আজও দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেতে সক্ষম।
আপনি কি ইতিমধ্যেই ‘ছাওয়া’ দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন, তাহলে সময় বের করে একবার হলেও হলে গিয়ে দেখুন সম্ভাজির দুর্দান্ত সংগ্রামের গল্প!
গবেষণার আড়ালে সামরিক পরিকল্পনা? সমুদ্রের গভীরে চিনের রহস্যময় কেন্দ্র ঘিরে উদ্বেগ