চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির বড় হার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতটি ছিল বিভিন্ন দলের জন্য একেবারেই বিপরীত। যেখানে একদিকে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বড় হারে পরাজিত হলো, অন্যদিকে লিভারপুল নিজেদের মাঠে অসাধারণ জয় তুলে নিল। আবার রিয়াল মাদ্রিদও নিজেদের ঘরের মাঠে এসি মিলানের কাছে হারল, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ালো।
সিটির বড় হার
স্পোর্টিং লিসবন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের কোচ রুবেন আমোরিমের শেষ ম্যাচে ৪-১ গোলে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে শুরুটা ভাল হলেও, শেষ পর্যন্ত সিটি হার মেনে নিতে বাধ্য হয়। মাত্র ৪ মিনিটেই ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে যায় সিটি, কিন্তু তারপরেই ভিক্টর গোয়কেরেসের হ্যাটট্রিকের দাপটে ম্যাচ ঘুরে যায়। ৩৮ মিনিটে গোয়কেরেস সমতা ফেরানোর পর, দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। সিটির আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড় আর্লিং হালান্ডও একটি পেনাল্টি মিস করেন, যা দলের পরাজয়ে আরও বড় ভূমিকা রাখে। এভাবে সিটির কাছে এটি ২০১৮ সালের পর প্রথম বড় হারের হ্যাটট্রিক।
রিয়ালের ঘরের মাঠে হার
গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এখনও খারাপ ফর্মে রয়েছে। এর আগে লা লিগায় বার্সেলোনার কাছে ৪-০ হারের পর, এবার এসি মিলানের কাছেও হেরে যায়। ১২ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলেই মিলান এগিয়ে যায়। যদিও ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিয়াস সমতা ফেরান, তারপর আলভারো মোরাতার গোল এবং টিয়ানি রাইন্ডার্সের তৃতীয় গোল রিয়ালের দুর্বলতাকে আরও সামনে আনে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম তারা ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচে পরাজিত হল।
লিভারপুলের দাপট
অন্যদিকে, লিভারপুল নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার লেভারকুসেনকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দাপট দেখিয়েছে। প্রাক্তন ফুটবলার ও বেয়ার লেভারকুসেনের কোচ জ়াবি আলোন্সোর জন্য ম্যাচটি ছিল বিশেষ, তবে মাঠে ছিল লিভারপুলের একচ্ছত্র আধিপত্য। লুইস দিয়াজ় হ্যাটট্রিক করেন এবং কোডি গাকপোও একটি গোল করেন। এই জয়ের ফলে লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটে শীর্ষে উঠে আসে, যেখানে গোল পার্থক্যে তারা স্পোর্টিং লিসবন এবং মোনাকোর পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এই রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একাধিক আকর্ষণীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদ উভয়েই নিজেদের ঘরের মাঠে হার নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে লিভারপুলের শক্তিশালী পারফরম্যান্স তাদের শীর্ষ স্থান ধরে রাখার পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
