চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচ নেই!
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হওয়া একদিনের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এবার তাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫, যা শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে এই টুর্নামেন্টের আগে কি কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত? উত্তর: না!
আইসিসি আয়োজিত বড় প্রতিযোগিতার আগে সাধারণত অংশগ্রহণকারী দলগুলি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়। তবে এবার ভারতের জন্য সেই সুযোগ থাকছে না। রোহিত শর্মার দল ২০ ফেব্রুয়ারি সরাসরি বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
❖ প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত কেন?
✔ শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম:
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা সিরিজ খেলার পর খেলোয়াড়দের ফ্রেশ ও চাঙ্গা রাখতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্রাম পেলে মূল টুর্নামেন্টের আগে তারা আরও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারবে।
✔ শিডিউল চাপ:
টানা সিরিজের কারণে ভারতীয় দলের সূচি বেশ ব্যস্ত ছিল। ফলে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার চেয়ে মূল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে চায় দল।
✔ অধিকাংশ শীর্ষ দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না:
শুধু ভারত নয়, আয়োজক পাকিস্তানও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না। একই পথে হেঁটেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
❖ কোন দলগুলি খেলবে প্রস্তুতি ম্যাচ?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী আটটি দলের মধ্যে চারটি দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না। তবে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
✅ পাকিস্তান: যদিও তারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না, তবে পাকিস্তান ‘এ’ (শাহিনস) দল আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
✅ নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ হবে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ যেখানে দুটি অংশগ্রহণকারী দল মুখোমুখি হবে।
👉 প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর ভেন্যু:
- লাহোর
- করাচি
- দুবাই
❖ শেষ কবে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই আইসিসি প্রতিযোগিতায় নেমেছিল ভারত?
২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবার কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না ভারত।
📌 ২০২৩ বিশ্বকাপ: ভারত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল।
📌 ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল।
তবে এবার বিসিসিআইয়ের পরিকল্পনা ভিন্ন। মূল দলের উপর বাড়তি ম্যাচের চাপ না দিয়ে তাদের বিশ্রাম দিয়ে সতেজ রাখাই মূল লক্ষ্য।
❖ এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য ভাল না খারাপ?
🔹 ইতিবাচক দিক:
- খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম নিশ্চিত হবে।
- প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরির ঝুঁকি কম থাকবে।
- মূল প্রতিযোগিতার আগে কৌশলগত বিশ্লেষণের জন্য বেশি সময় পাওয়া যাবে।
🔸 নেতিবাচক দিক:
- পাকিস্তানের কন্ডিশনে মাঠের অভিজ্ঞতা কম হবে।
- সরাসরি ম্যাচ খেলার ফলে প্রথম ম্যাচে ঝুঁকি থাকতে পারে।
🔹 উপসংহার
প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে নামছে ভারত। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নামবে রোহিত শর্মার দল। তবে পাকিস্তানের মতো দলও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না, যা কিছুটা হলেও ভারতের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক করে তুলছে। এখন দেখার, বিশ্রামের কৌশল মাঠে কার্যকর হয় কি না!
“রাজ্যের বাজেট দিশাহীন!”— এক সুরে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু, নওশাদ ও বাম-কংগ্রেস