চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে ‘জ়োরাবর’!
ভারতের সীমান্ত প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। লাদাখ ও গুজরাতের কচ্ছের মতো কঠিন ভূখণ্ডে মোতায়েনের জন্য ভারতীয় সেনার হাতে আসছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ট্যাঙ্ক ‘জ়োরাবর’ (Zorawar)। এই ট্যাঙ্কে যুক্ত হচ্ছে দেশেই তৈরি নাগ এমকে-২ (Nag Mk-2) ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র—যা শত্রুর ট্যাঙ্ক মুহূর্তে ধ্বংস করতে সক্ষম।
🚀 জ়োরাবর ট্যাঙ্কের মূল বৈশিষ্ট্য
| বৈশিষ্ট্য | তথ্য |
|---|---|
| নির্মাতা সংস্থা | DRDO ও L&T Heavy Engineering |
| ওজন | প্রায় ২৫ টন (হালকা ও দ্রুতগামী) |
| অস্ত্রসম্ভার | নাগ এমকে-২ ক্ষেপণাস্ত্র |
| সক্ষমতা (স্থল) | ৫০০ মিটার – ৪ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত |
| সক্ষমতা (আকাশ) | ৭ – ১০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত নিখুঁত হামলা |
| পরীক্ষা ক্ষেত্র | লাদাখ ও কচ্ছ |
| হস্তান্তর সময়সীমা | ২০২৫ সালের শীতকাল |
🔰 আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা সাফল্য
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, DRDO ইতিমধ্যেই নাগ ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করে এর কার্যকারিতা পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এর ফলে ভারতীয় সেনা আর বিদেশি ট্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না।
আশির দশকে শুরু হওয়া DRDO-র Integrated Missile Development Programme-এর অন্যতম প্রকল্প ছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র, যেখানে ‘অগ্নি’, ‘পৃথ্বী’ ও ‘আকাশ’-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি হয়।
আরও বিস্তারিত পড়ুন 👉 মোদীর আহ্বানে আত্মনির্ভরতার ‘মন্ত্র’
🪖 কেন ‘জ়োরাবর’ এত গুরুত্বপূর্ণ
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনের পর ভারতীয় সেনার কাছে একটি হালকা ও দ্রুতগতির ট্যাঙ্কের চাহিদা তৈরি হয়।
বিদ্যমান অর্জুন, টি-৯০ ভীষ্ম, ও টি-৭২ অজেয় ট্যাঙ্কগুলো ওজনে ভারী হওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে কার্যকর নয়। সেই কারণেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগে তৈরি হয় জ়োরাবর—একটি high-mobility light tank, যা পাহাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে সহজে চলাচল করতে সক্ষম।

