Sunday, April 13, 2025

চিনে প্রেম মানেই বিপদ! ট্রাম্পের কড়া ফরমান— প্রেম বা সম্পর্ক মানলেই চাকরি যাবে

Share

ট্রাম্পের কড়া ফরমান

চিনের মাটিতে মোতায়েন মার্কিন সরকারি কর্মীদের প্রেম-প্রণয় নিয়ে নতুন করে ঝড় তুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— চিনের কোনও নাগরিকের সঙ্গে প্রেম বা যৌন সম্পর্কে জড়ানো যাবে না। নিয়ম ভাঙলে কেবল চাকরি নয়, ঝুলতে পারে জেল পর্যন্ত!

এই নির্দেশিকা প্রথমে জারি হয় বেজিংয়ের মার্কিন দূতাবাসে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গুয়াংজ়ু, সাংহাই, শেনিয়াং, উহান ও হংকঙে থাকা মার্কিন কর্মীদের মধ্যেও। এমনকি, কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।

কিন্তু এত কড়াকড়ি কেন?

হোয়াইট হাউস সূত্র বলছে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বারবার উঠে এসেছে, চিনা গুপ্তচর সংস্থাগুলি মার্কিন কর্মীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, গত কয়েক বছরে বহুবার দেখা গেছে, মোহিত করে ঘনিষ্ঠতায় টেনে এনে তথ্য বের করে নিচ্ছে চিনা গুপ্তচরেরা।

একদা ঠান্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়ার কেজিবি যেমন মোহিনী গুপ্তচর পাঠাত, সেই কৌশলেই চিন কাজ করছে বলেই আশঙ্কা ট্রাম্প শিবিরের। তাই পুরনো সেই ‘নন-ফ্রেটারনাইজেশন পলিসি’ ফিরিয়ে আনলেন ট্রাম্প।

যাঁদের আগে থেকেই চিনা নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা আপাতত ছাড় পাচ্ছেন। তবে নতুন করে কেউ সম্পর্ক গড়ালে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি, কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে বা বরখাস্ত হলে তাঁদের দ্রুত চিন ছাড়ার নির্দেশও আসতে পারে।

সিআইএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর দু’টি ঘটনার সময় দেখা যায়, লাস্যময়ী চিনা মহিলারা কূটনীতিকদের ঘনিষ্ঠ হতে চেয়ে দূতাবাস পর্যন্ত এসেছিলেন। যদিও মার্কিন কর্মীরা তাতে সাড়া দেননি। তবে এই প্রবণতা বাড়ছে বলেই সতর্ক ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে এই ধরনের নির্দেশ রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াবে। ট্রাম্প সরকার যেখানে চিনা পণ্যে কর বাড়াচ্ছে, সেখানে এই আদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও তিক্ত করতে পারে।

ট্রাম্পের আগেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন সীমিত ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা চালু করেছিলেন, তবে তা ছিল আংশিক। ট্রাম্প এবার একে সর্বব্যাপী করেছেন, এবং একে গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন।

মজার ব্যাপার, অতীতে বহু কূটনীতিক বিদেশে কর্মরত অবস্থায় প্রেমে পড়েছেন, বিয়েও করেছেন। তাই নতুন এই নির্দেশিকা নিয়ে আমেরিকার সরকারি মহলেই চলছে চাপা গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ককে এভাবে নিয়ন্ত্রণ করা ‘অতি সাবধানতা’।

তবে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট— চিনে মোতায়েন মার্কিন কর্মীরা যদি কোনও রকম সম্পর্ক গড়েন, তবে শুধু পদ হারানোই নয়, ফেরত এসে তাঁরা আইনগত জটিলতার মুখোমুখিও হতে পারেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে কূটনীতি আর প্রেম—দু’টোরই ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। চাকরি বাঁচাতে হলে এবার প্রেম নয়, কেবল পেশাদারিত্বেই ভরসা মার্কিন কর্মীদের!

রুই-কাতলার একঘেয়েমিতে বিরাম! স্বাদ বদল আনতে রান্না করুন ট্যাংরা মাছের ঝালঝালে তেল-ঝাল

Read more

Local News