Monday, December 1, 2025

চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে দৃঢ় সংকল্প ভারত, এসসিও শীর্ষবৈঠকে নতুন কূটনৈতিক দিশা খুঁজছেন মোদী

Share

এসসিও শীর্ষবৈঠকে নতুন কূটনৈতিক দিশা খুঁজছেন মোদী

চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে প্রস্তুত ভারত। সাত বছর পর চিন সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি ভারত এবং চিনের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন নয়, গোটা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও অপরিহার্য।

আগামী ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের বন্দর শহর তিয়ানজ়িনে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-র শীর্ষবৈঠক। সেখানেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন মোদী। তার আগে শুক্রবার তিনি দুই দিনের সফরে জাপানে পৌঁছেছেন। জাপানি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, “পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ভারত।”

এবারের এসসিও সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদী। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এসসিও-তে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতারা অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে কেবল মোদী ও পুতিনকেই ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন শি জিনপিং। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই বৈঠক থেকে “রিক ট্রয়িকা”—রাশিয়া, ভারত ও চিনের মধ্যে নতুন কৌশলগত জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার উপর চাপ তৈরি করবে।

গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সম্পর্কে একাধিক অস্থিরতার ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ধারাবাহিক কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, এবং গত অক্টোবর থেকে সীমান্তে সেনা পিছিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কনীতি নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই শীর্ষবৈঠক ভারতের কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।

মোদীর এই সফর কেবল একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সীমান্তে সংঘাতের ছায়া কাটিয়ে যদি দুই দেশের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠন হয়, তবে তা গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সহজ জয় রাডুকানু ও আজ়ারেঙ্কার

Read more

Local News