চিত্রগ্রাহক সংগঠনের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ!
টলিপাড়ায় ফের বিতর্ক। ফেডারেশনের অন্তর্গত চিত্রগ্রাহক সংগঠন ডিওপি গিল্ড-এর বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ। সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গিল্ড-এর সদস্যরা অর্থ নয়ছয় করেছেন। তবে ঘটনাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
কী ঘটেছিল?
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বজিৎবাবুর একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। সেই চিঠিতে তিনি সংগঠনের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গিল্ড-এর মধ্যে দুর্নীতি চলছে এবং সঠিকভাবে হিসাবনিকাশ রাখা হচ্ছে না। নিজের এই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম বিশ্বজিৎবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। তবে ডিওপি গিল্ড-এর কার্যকরী সম্পাদক স্বপন মজুমদার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। আমরা সভাপতিকে ডেকে পাঠিয়েছি এবং আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করব।”
পাল্টা দাবি কার্যকরী সম্পাদকের
স্বপনবাবুর বক্তব্য, “বিশ্বজিৎবাবু আমাদের জানিয়েছেন, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করতে চান। তবে তিনি অর্থ কেলেঙ্কারির কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনেননি। তাছাড়া, চিঠিটি তিনিই লিখেছেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বিশ্বজিৎবাবুর স্বাক্ষর জাল করে কেউ চিঠিটি প্রকাশ্যে আনতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনায় বসতে চাই।”
সংগঠনের বর্তমান পরিস্থিতি
বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ অনুযায়ী, গিল্ড-এর সদস্যদের মধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এমনকি, সাধারণ সদস্যদের আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে সভায় যোগ দিতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ৮৩ বছর বয়সী বিশ্বজিৎবাবুর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেছেন তিনি।
পরবর্তী পদক্ষেপ
বিষয়টি কি ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের কানে পৌঁছেছে? কার্যকরী সম্পাদক স্বপনবাবু জানিয়েছেন, আলোচনা শেষে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পরই এই বিষয়ে ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে কথা বলা হবে।
এই বিতর্কের মধ্যে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারবে কি ডিওপি গিল্ড? নাকি আরও জটিল হবে পরিস্থিতি? উত্তর দেবে সময়।