Monday, May 5, 2025

চাকরি না থাকলেও লড়াই ছাড়েননি! ৪০ ঘণ্টা ঘেরাওর পর মুক্ত এসএসসি চেয়ারম্যান, রোদে-গরমে রাস্তায় অনশন চাকরিহারাদের

Share

চাকরি না থাকলেও লড়াই ছাড়েননি!

৪০ ঘণ্টার টানা ঘেরাও শেষে বুধবার সকালে অবশেষে মুক্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। কিন্তু যাঁদের চাকরি চলে গেছে, সেই হাজারো গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীর কাছে এই মুক্তি নিছকই একটি ধাপে। তাঁরা এখনও রাস্তায়, গরমে-রোদে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ন্যায়ের প্রত্যাশায়।

ঘেরাও থেকে মুক্তি, কিন্তু সংকট কাটেনি

সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিজ কার্যালয়ে কার্যত বন্দি ছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার সহ অন্যান্য এসএসসি কর্তারা। আদালতের নির্দেশে বুধবার হাই কোর্টে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে বলেই তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য—এটা কোনও সমাধান নয়, বরং বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ।

চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের দাবি, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ না দিলে এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। অভিযোগ, ১৭,২০৬ জনের তালিকার মধ্যে মাত্র ১৫,৪০৩ জনকে ‘যোগ্য’ বলে ধরা হয়েছে, বাকিদের বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই।

রোদে পুড়ে, গরমে জ্বলে আন্দোলন রাস্তাতেই

তীব্র গরম উপেক্ষা করেও বুধবার সকালেও এসএসসি দফতরের সামনেই অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। তাঁদের কথায়, স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানে কয়েকজন শিক্ষাকর্মী অনশনে বসেছেন। তাঁদের শর্ত—তালিকা প্রকাশ, ওএমআর শিট আপলোড এবং দোষীদের শাস্তি।

‘যোগ্য’ তালিকা তৈরি হচ্ছে তিন ধাপে

SSC জানিয়েছে, একেবারে ‘নিষ্কলঙ্ক’ বা ‘বৈধ’ প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে তা পর্যায়ক্রমে স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানো হবে। তিনটি ধাপে এই তালিকা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, স্কুল শিক্ষা কমিশনার ডিআইদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যাঁরা যোগ্য—তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং বেতনও দেওয়া হবে।

আদালতের কঠোর বার্তা, উঠছে আদালত অবমাননার অভিযোগ

বুধবার হাই কোর্টে ফের শুনানি রয়েছে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে হাই কোর্টের চাকরি বাতিল নির্দেশ বহাল রেখেছে। আদালত প্রশ্ন তুলেছে—ওএমআর শিট কেন এখনও আপলোড হয়নি? SSC-র তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।

চূড়ান্ত প্রশ্ন—এই প্রতিবাদ কত দূর যাবে?

চাকরিহারা শিক্ষকদের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই শুধু একটা চাকরি ফিরে পাওয়ার নয়, এটা তাঁদের আত্মসম্মান রক্ষার লড়াই। তাঁরা বলছেন, ‘‘আমরা হার মানব না, সত্যের জয় হবেই।’’

যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দফতরে সমস্যা সমাধানের আলোচনা হয়, সেখানে তপ্ত রোদের নিচে বসে কয়েক হাজার জীবন একটাই প্রশ্ন করছে—তাদের ভবিষ্যৎ কোথায়?

ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্য চমৎকার, তবে কীভাবে ব্যবহার করবেন? জানুন ৫ সহজ উপায়

Read more

Local News