Saturday, February 8, 2025

ঘূর্ণিঝড় দানা তাণ্ডব: বৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে উপকূল জুড়ে সতর্কবার্তা

Share

ঘূর্ণিঝড় ডানা

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা‘ দ্রুত এগিয়ে আসছে বঙ্গোপসাগর থেকে, আর তার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে এই ঝড়-বৃষ্টি। উপকূলীয় এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিপর্যয়ের পূর্বাভাস: সাগর থেকে মাত্র ৭৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। এটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে বুধবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৪ অক্টোবর রাতের দিকে অথবা ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে এটি সাগরদ্বীপ ও পুরীর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। সেসময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা: ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। ২৪ ও ২৫ অক্টোবরের মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ২০ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে স্থানীয় বন্যার সৃষ্টি হতে পারে এবং বহু এলাকার মাটির বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব: ২৫ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলের হাওয়ার গতি সর্বোচ্চ থাকবে, যার বেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি এবং ঝড়ের সময় তা ১২০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাবে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর এবং সুন্দরবন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশি হতে পারে। কলকাতায়ও ৫০-৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে হাওয়া বইবে, ফলে জীবনে ও সম্পত্তিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের সতর্কবার্তা: মৎস্যজীবীদের ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে আছেন তাদের ২৩ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে এবং স্থানীয় প্রশাসন উপকূলের বিপজ্জনক বাড়িতে বসবাসরত মানুষদের পাকা বাড়িতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সতর্কতা ও প্রস্তুতি: কলকাতা এবং হলদিয়া পোর্টকে সাবধান করা হয়েছে, কারণ এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। প্রশাসন ইতিমধ্যে জলোচ্ছ্বাস, বাঁধ ভাঙা, এবং গাছপালা উপড়ে পড়ার মতো বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Read more

Local News