গোয়ার গ্রামীণ সৌন্দর্য!
গোয়া বলতে অনেকের মনে প্রথমেই আসে সোনালী সৈকত, হেলে পড়া নারকেল গাছ আর সাগরের ঢেউ। তবে, গোয়ার অজানা রূপও সমান আকর্ষণীয়। সৈকতের বাইরে গোয়ার গ্রামগুলোতে রয়েছে অনন্য ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। যদি একটু ভিন্নভাবে গোয়া ঘুরতে চান, তাহলে আপনার ভ্রমণের তালিকায় অবশ্যই রাখতে পারেন এই গ্রামগুলো।
আলডোনা: শান্তির খোঁজে
গোয়ার বারদেজ় তালুকে অবস্থিত আলডোনা গ্রামটি পর্যটকদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত এবং সুন্দর। আলডোনার সেন্ট টমাস গির্জাটি ১৫৯৬ সালে মাপুসা নদীর ধারে তৈরি হয়েছিল, যা খুবই ঐতিহাসিক ও দর্শনীয়। এই গ্রামে বাইক বা স্কুটার ভাড়া করে ঘুরে বেড়ানো যেতে পারে। আলডোনা থেকে কিছু দূরেই রয়েছে কোর্জুয়েম ফোর্ট এবং আলডোনা-কোরজুয়েম সেতু, যা অবশ্যই দেখার মতো। এছাড়াও, গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় রেস্তরাঁগুলোতে চেখে দেখতে পারেন স্বাদু মাছের পদ।
সালিগাঁও: পর্তুগিজ ইতিহাসের সাক্ষী
গোয়ার রাজধানী পানাজি থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে সালিগাঁও। এই গ্রামটি সঙ্গত কারণেই একদম আলাদা, কারণ এখানে রয়েছে ‘মায়ে দে দিউস’ গির্জা, যা নিও-গথিক স্থাপত্যের এক চমৎকার নিদর্শন। এই গির্জা পর্তুগিজ ঔপনিবেশিকতার সাক্ষ্য বহন করে। গাছপালা ঘেরা সালিগাঁও বাঁধের রাস্তা ধরে বাইক চালানো বা হাঁটা—দু’টোই দারুণ অভিজ্ঞতা। এখানে বেশ কিছু পুরানো পর্তুগিজ বাড়িও রয়েছে, যেখানে রয়েছে ঐতিহাসিক আসবাবপত্র এবং শিল্পকর্ম। গ্রামের ছোট ছোট রেস্তরাঁতে গোয়ান চা ও স্ন্যাক্স খাওয়ার মজা আলাদা।
চান্দর: ইতিহাসের ছোঁয়া
দক্ষিণ গোয়ার চান্দর গ্রামটি ঘুরে দেখতে পারেন। এই গ্রামটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভরা এবং এখানে রয়েছে পুরানো কিছু বাড়ি, যার মধ্যে ব্রাগানজ়া বাড়িটি অন্যতম। এখানে রয়েছে বুদ্ধ পাহাড়ও, যা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একসময় চন্দ্রপুরা ছিল ভোজ রাজাদের রাজধানী, এবং বর্তমানে চান্দর গ্রামের মধ্যে নানা পুরানো দুর্গ এবং মন্দির রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের কাছে এক অমূল্য অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
শেষ কথা:
গোয়ার সৈকত যেমন জনপ্রিয়, তেমনই এই গ্রামীণ অঞ্চলগুলোও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। সৈকতকে ছেড়ে যদি আপনি গোয়ার অজানা সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে চান, তবে এই গ্রামগুলোকে অবশ্যই আপনার ভ্রমণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে স্বস্তির হাওয়া, ঘরছাড়াদের ফেরাতে প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ