Thursday, December 4, 2025

গোপন সাক্ষাতে শাশুড়ির উপদেশ! হেমা মালিনীর জীবনের অজানা অধ্যায়

Share

হেমা মালিনীর জীবনের অজানা অধ্যায়!

হিন্দি ছবির রূপালি পর্দায় ধর্মেন্দ্রকে ঘিরে মুগ্ধতা বরাবরই ছিল প্রবল। অসংখ্য নারী তাঁর রূপ-কারিশমায় মুগ্ধ হলেও, বাস্তব জীবনে হেমা মালিনীকেই বেছে নিয়েছিলেন ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রেমের পথে ছিল অনেক টানাপড়েন, দ্বন্দ্ব ও আবেগঘন জটিলতা। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর ও পরিবারের প্রতি নিজের দায়িত্ব থেকে কখনও সরে আসেননি ধর্মেন্দ্র। শোনা যায়, অভিনেতার মা-ই নাকি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন— প্রকাশকে কখনও ত্যাগ করা যাবে না। ধর্মেন্দ্র মায়ের সেই কথাই রেখেছিলেন।

তবে এর মাঝেও ছিল এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা— ধর্মেন্দ্রর মা সতবন্ত কৌর নাকি একবার লুকিয়ে গিয়ে দেখা করেছিলেন হেমা মালিনীর সঙ্গে। বহু বছর পরে নিজের আত্মজীবনীতে সেই গোপন মুহূর্তই প্রকাশ্যে আনেন ‘ড্রিমগার্ল’।


সেই গোপন সাক্ষাৎ— কী বলেছিলেন অভিনেতার মা?

হেমা জানিয়েছেন, একদিন শুটিং চলাকালীন আচমকাই স্টুডিওতে হাজির হন ধর্মেন্দ্রর মা। তিনি জানতেন, ছেলে হেমার প্রেমে গভীরভাবে ডুবে আছে, এবং পরিস্থিতি জটিল। তবুও কোনও অভিযোগ নয়, বরং উষ্ণ আলিঙ্গনে বরণ করেছিলেন ভবিষ্যতের পুত্রবধূকে।

হেমার কথায়—
“উনি আমাকে দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘সারা জীবন খুশি থেকো।’ এই আশীর্বাদ আমার কাছে আজও অমূল্য।”

শুধু ধর্মেন্দ্রর মা নন, তাঁর বাবা কীর্তীচাঁদ সিংহও হেমাকে খুব স্নেহ করতেন। হেমা জানান, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বাবার সম্পর্ক ছিল দারুণ। দেখা হলেই মেতে উঠতেন পাঞ্জা লড়ার খেলায়। আর মজা করে বলতেন—
“তোমরা দক্ষিণী খাবার খেয়ে শক্তি পাবে না, ঘি-মাখন খেতে হবে!”
এই কথায় সবাই হেসে উঠতেন।


অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব

যদিও ধর্মেন্দ্রর মা-বাবার সঙ্গে হেমার সম্পর্ক ছিল আন্তরিক, প্রকাশ কৌরের সঙ্গে তাঁর কোনওদিন দেখা হয়নি। দু’জন দু’জনকে চোখের আড়ালেই রাখতেন। হেমা বলেন—
“আমার মধ্যে হিংসে নেই। তাই আমি পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ।”

ধর্মেন্দ্র জীবনের শেষ বছরগুলো প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গেই কাটিয়েছিলেন। তবুও হেমা কখনও তাতে বিরক্ত হননি, বরং নিজের স্বাধীন ও শান্ত জীবন নিয়ে ছিলেন সন্তুষ্ট।


হেমার পাঞ্জাবের শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশাধিকার না থাকা

বহুদিন ধরে গুঞ্জন ছিল— ধর্মেন্দ্রর পাঞ্জাবের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পাননি হেমা। তাঁর দুই মেয়ে ঈশা ও আহানাও সেখানে যেতেন না। পরে জানা যায়, হেমা জীবনে একবারই সেই বাড়িতে ঢুকেছিলেন— যখন অভিনেতার মা মৃত্যুশয্যায়। মাকে শেষ দেখা দিতে সেখানে গিয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ।


ধর্মেন্দ্র–হেমা: ভালোবাসার দুই দিক

এই সম্পর্ক যেমন ছিল গভীর, তেমনই ছিল সামাজিক সমালোচনা ও পারিবারিক চাপ। তবু হেমা বারবার বলেছেন—
“ধর্মজি-র সঙ্গে থাকতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে অনেক।”

ধর্মেন্দ্রও তাঁর প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন নিজের মতো করেই। দুই পক্ষের সম্পর্কে বহু জটিলতা থাকলেও ভালবাসা ছিল অটুট।

Read more

Local News