Monday, December 1, 2025

গম্ভীরের নতুন ফিটনেস টেস্টে অশ্বিনের আপত্তি, প্রশ্ন তুললেন ধারাবাহিকতা নিয়ে

Share

গম্ভীরের নতুন ফিটনেস টেস্টে অশ্বিনের আপত্তি!

ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ফিটনেস নিয়ম চালু করতে চলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। রাগবির ধাঁচে তৈরি ‘ব্রঙ্কো’ টেস্ট এবার থেকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে পেসারদের জন্য বাধ্যতামূলক হতে পারে। তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন সিনিয়র ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সরাসরি নাম না করলেও, তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে গম্ভীরের সিদ্ধান্ত নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলছেন।

নতুন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রুর পরিকল্পনা থেকে এই পরীক্ষার ধারণা এসেছে। সোহম দেশাইয়ের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মনে করেন, ক্রিকেটারদের শুধু জিম নয়, মাঠে থেকেও ফিটনেস ঝালিয়ে নেওয়া দরকার। তাঁর এই ভাবনায় সায় দিয়েছেন গৌতম গম্ভীরও। তাই যৌথ সিদ্ধান্তে দলকে ‘ব্রঙ্কো’ টেস্ট দেওয়ার নির্দেশ এসেছে।

অশ্বিন এই প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে একটি নির্দিষ্ট ট্রেনিং পদ্ধতির মধ্যে থেকে হঠাৎ পরিবর্তন করা ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’-এ তিনি জানান, “যখন ট্রেনার বদল হয়, তখন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসে। এতে ক্রিকেটাররা বিভ্রান্ত হয়। অনেক সময় চোটের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমি নিজেও ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে একই সমস্যায় পড়েছিলাম। সোহমের সঙ্গে ধীরে ধীরে একটা সিস্টেমে ঢুকতে পেরেছিলাম।”

অশ্বিন আরও প্রশ্ন তোলেন, ক্রিকেটারদের কাছ থেকে যেমন ধারাবাহিকতা আশা করা হয়, ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও কি সেটা বজায় রাখা উচিত নয়? তাঁর মতে, একটা পদ্ধতি যদি সাফল্য এনে দেয়, তবে সম্পূর্ণ বদলানোর প্রয়োজন নেই। কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে, কিন্তু গোটা সিস্টেম পাল্টে দেওয়া ঠিক নয়।

‘ব্রঙ্কো’ টেস্টের নিয়ম অনুযায়ী, একজন ক্রিকেটারকে প্রথমে ২০ মিটার দৌড়ে ফিরে আসতে হয়, তারপর ৪০ মিটার, শেষে ৬০ মিটার দৌড়ে ফিরে আসতে হয়। এই প্রক্রিয়াই একটি সেট। এক সঙ্গে পাঁচ সেট করতে হয়, অর্থাৎ মোট ১,২০০ মিটার দৌড় সম্পূর্ণ করতে হয় পাঁচ মিনিটের মধ্যে। ইতিমধ্যেই কিছু ক্রিকেটার বেঙ্গালুরুর বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রে গিয়ে এই পরীক্ষা দিয়েছেন। ইয়ো-ইয়ো টেস্ট ও দুই কিলোমিটার রানের পাশাপাশি এই নতুন পরীক্ষা যুক্ত হবে।

অশ্বিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হঠাৎ এই ধরণের চাপের ফিটনেস টেস্ট ক্রিকেটারদের শরীরে অযথা চাপ তৈরি করতে পারে, যা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাঁর মতে, ক্রিকেটে ফিটনেস যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই দরকার ট্রেনিংয়ের স্থিতিশীলতা। আর সেই স্থিরতাই ভেঙে দিতে পারে নতুন নিয়ম।

অন্য দিকে গম্ভীর এবং নতুন ফিটনেস কোচের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পেতে হলে ক্রিকেটারদের আরও কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ফিটনেসের মান যদি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে মেলাতে হয়, তবে নতুন পরীক্ষা আবশ্যক।

ভারতীয় ক্রিকেট দলে তাই এখন বড় প্রশ্ন—গম্ভীরের নতুন সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়রা মানিয়ে নিতে পারবেন, নাকি অশ্বিনের আশঙ্কা সত্যি হয়ে উঠবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।

ট্রোলের জবাবে মৌনী রায়: ‘‘ভালবাসা শিখুন, নয়তো জীবন ব্যর্থ’’

Read more

Local News