Monday, December 1, 2025

ক্ষমা আর ‘খুব ভাল’-এর diplomacy! মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্ব কি তবে আপাতত মিটল?

Share

মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্ব কি তবে আপাতত মিটল?

হঠাৎ করেই রাজনীতির মঞ্চে যেন এক নাটকীয় পালাবদল। ট্রাম্পকে নিয়ে কটাক্ষের পর একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ক্ষমা চেয়ে বসলেন ইলন মাস্ক। আর সেই ক্ষমা চাওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া? “খুব ভাল!” সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে তিনি যেন ইঙ্গিতই দিলেন, হয়তো বরফ গলতে শুরু করেছে।

গত বুধবার গভীর রাতে এক্স হ্যান্ডলে (প্রাক্তন টুইটার) মাস্ক লেখেন, “ট্রাম্পকে নিয়ে কিছু পোস্ট আমার করা উচিত হয়নি। এটা মাত্রার বাইরে চলে গিয়েছিল। আমি দুঃখিত।” এই বক্তব্যেই যেন এক ঢিলে বহু পাখি মারার চেষ্টা করলেন টেসলা-কর্তা।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বললেন, “খুব ভাল! ওঁর ক্ষমা চাওয়া দারুণ ব্যাপার।” সঙ্গে আরও যোগ করলেন, “সুন্দর বিল ইস্যুতে আমাদের মধ্যে যে মতভেদ হয়েছিল, তার পুরো দোষ আমি মাস্কের ঘাড়ে চাপাতে চাই না।” তবে এটাও স্বীকার করতে ভোলেননি, ইদানীং মাস্কের আক্রমণে তিনি বিরক্তই ছিলেন।

বন্ধুত্বের ইতিহাস, বিবাদের সূচনা

মাস্ক ও ট্রাম্পের সম্পর্ক এক সময় ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। এমনকি ট্রাম্প নিজেই মাস্কের জন্য হোয়াইট হাউসে আলাদা দফতর বানানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই সৌহার্দ্যে চিড় ধরে ‘সুন্দর বিল’ নামক এক প্রস্তাবিত আইন ঘিরে। এরপর একের পর এক পোস্টে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেন মাস্ক— এমনকি দাবি করেন, “আমি সাহায্য না করলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টই হতে পারতেন না!”

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ‘বোমা ফেলার’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি অভিযোগ তোলেন, কুখ্যাত জেফ্রি এপস্টিনের ফাইলে ট্রাম্পের নাম আছে। পরে অবশ্য সেই পোস্ট সরিয়ে নেন। তত দিনে দু’জনের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

তাহলে কি সত্যিই চাপেই মাথা নত?

অনেকেই মনে করছেন, মাস্কের এই আচমকা ক্ষমা চাওয়া নিছক অনুশোচনা নয়—বরং চাপের ফসল। ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেই টেসলার শেয়ারদর ক্রমশ নামতে শুরু করে। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও মাস্কের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতেই হয়তো এই মিষ্টি ভঙ্গিমায় পিছু হটার কৌশল।

এদিকে মাস্কের এই ‘বদলে যাওয়া’ স্বর বিশ্ব রাজনীতি এবং কর্পোরেট জগতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, এত দিন যিনি ট্রাম্পকে নিশানা করেছিলেন, তিনিই কি হঠাৎ অনুতপ্ত হয়ে উঠলেন? নাকি এটা কৌশলগত টান-ছড়ির এক নতুন ধাপ?

শেষ কথা?

ট্রাম্পের “খুব ভাল” মন্তব্য আপাতত বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ তৈরি করলেও, এ সম্পর্ক কত দিন স্থায়ী হবে, তা বলবে সময়ই। অতীতে যেমন হঠাৎ বন্ধুত্ব হয়েছিল, তেমনই মুহূর্তে ‘বিচ্ছেদ’ও ঘটেছিল। রাজনীতি ও ব্যবসার মেলবন্ধনে যে সব সময় যুক্তি বা আবেগ চলে না—এই ঘটনার রসায়ন তার আরেক উদাহরণ।

চল্লিশের পর ফিটনেস মানে শুধু ঘাম নয়, সচেতনতা! লিসা রে জানালেন কোন ব্যায়াম থেকে দূরে থাকবেন

Read more

Local News