Friday, May 2, 2025

কোহলি-সল্ট ফ্লপ মানেই হারের গ্যারান্টি! ঘরের মাঠেই শ্রেয়সেরা পাঞ্জাবের কাছে ধরাশায়ী বেঙ্গালুরু 🔥

Share

কোহলি-সল্ট ফ্লপ মানেই হারের গ্যারান্টি!

আইপিএলের এবারের মরসুম যেন বেঙ্গালুরুর জন্য একটাই সূত্র মেনে চলছে—কোহলি আর ফিল সল্ট যদি ছন্দে থাকেন, তাহলে জয় আসবেই; না হলে পরিণতি শুধুই হার! শুক্রবারের ম্যাচে এই সূত্র আবারও প্রমাণ করল নিজেদের ঘরের মাঠেই পাঞ্জাবের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে গেল বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এ নিয়ে পরপর তিন ম্যাচে হার!

বেঙ্গালুরুর ইতিহাস বলছে, তারকা খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করেই দলটি ম্যাচ জিততে চায়। কখনও ক্রিস গেল, কখনও এবি ডিভিলিয়ার্স, আবার কখনও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বা ফাফ ডুপ্লেসি—এই নামগুলো ঘুরে ফিরে এসেছে কোহলির পাশে। এ বার সেই জায়গায় এসেছেন ফিল সল্ট। কিন্তু এই নির্ভরশীলতাই যে দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াবে, তারই প্রমাণ মিলল শুক্রবার।

চলতি আইপিএলে কোহলি-সল্ট জুটির দাপট অব্যাহত—৮.৩ ওভারে ৯৫ (কলকাতার বিরুদ্ধে), ৫ ওভারে ৪৫ (চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে), ৩.৫ ওভারে ৬১ (দিল্লির বিরুদ্ধে)। কিন্তু পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে? একেবারে ভিন্ন ছবি।

প্রথম ওভারেই চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সল্ট। কিন্তু চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন জশ ইংলিসকে। কোহলি তখনও ক্রিজে পৌঁছাননি! মাত্র তৃতীয় ওভারে ব্যাট করতে এসে চতুর্থ বলেই তিনিও সাজঘরে ফিরে গেলেন মার্কো জানসেনের বলে।

এরপর কেউই দাঁড়াতে পারলেন না। রজত পাটীদার চেষ্টা করলেও, পিচের মন্থরতাই তাঁকে বড় শট খেলতে দিল না। ব্যর্থ হলেন লিভিংস্টোন ও জিতেশ শর্মাও। অবাক করা বিষয়, দেবদত্ত পাড়িক্কলকে গোটা ম্যাচেই নামানো হয়নি, বরং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এলেন মনোজ ভান্ডাগে!

শেষ দিকে টিম ডেভিডের ৩ ছয়ের ইনিংস (৫০*) একটু ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যায় দলকে—১৪ ওভারে ৯৫/৯। তবে এত কম রানে লড়াই কতটা সম্ভব?

বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হয় রাত ৯.৪৫-এ, ইনিংস ছোটে ১৪ ওভারে। পিচ মন্থর ছিল। সেই পিচে লড়াই দিয়েই শুরু করেছিল বেঙ্গালুরু। জশ হেজলউড দুর্দান্ত বল করেন (৩ উইকেট), কিন্তু বাকি বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। পঞ্জাবের ইনিংসে চাপ তৈরি হয়েছিল যখন ইংলিস, শ্রেয়স এবং প্রিয়াংশ আর্য ফিরে যান।

তবে সেই চাপ কাটিয়ে দেন নেহাল ওয়াধেরা। তাঁর ১৯ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস পাঞ্জাবকে এনে দেয় জয়ের পথ। বেঙ্গালুরুর তরুণ পেসার সুযশ শর্মার ভুল লেংথের বলগুলিও তাদের বিপক্ষে যায়।

শেষ কথা? শুধু কোহলি আর সল্টের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। দলের বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। না হলে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও জয় অধরা থেকে যাবে।

এসএসসি নিয়োগে আসছে বড় পরিবর্তন: পরীক্ষার্থীরা এবার উত্তরপত্রের কার্বন কপি পাবেন!

Read more

Local News