কোনও দিন অর্থের অভাব হয়নি, তাই ‘স্ট্রাগলার’ নই!
বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতাদের ‘স্ট্রাগল’ নিয়ে আলোচনার মাঝেই রাহুল দেব বসু খোলাখুলিভাবে জানালেন—তিনি কখনও স্ট্রাগলার ছিলেন না, কারণ অর্থনৈতিক লড়াই তাঁকে করতে হয়নি। তবে তাঁর মতে, আজকের দিনে স্ট্রাগলের অর্থ একেবারেই বদলে গেছে। এখন না-খেয়ে থাকা নয়, বরং অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা—এইটাই প্রকৃত সংগ্রাম।
🎭 রাহুলের চোখে ‘স্ট্রাগল’—পুরনো আর নতুন সংজ্ঞা
উত্তমকুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, মনোজ বাজপেয়ী থেকে নওয়াজ়উদ্দীন—প্রাচীন ও মধ্যযুগের অভিনেতাদের স্ট্রাগল ছিল কঠোর বাস্তবের বিরুদ্ধে লড়াই। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, খাবার জুটছে না, দিনের পর দিন অপেক্ষা। রাহুল স্পষ্টই বললেন—
“আমার জীবনে কখনও টাকার অভাব হয়নি। আমি উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। তাই আমার লড়াই তাঁদের মতো নয়।”
আজকের দিনে তাঁর মতে, স্ট্রাগল মানে—
- কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
- দর্শকের মনে নিজের জায়গা ধরে রাখা
- প্রতিযোগিতামূলক ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা
এটাই তাঁর চোখে আধুনিক যুগের ‘অস্তিত্বসংকট’।
📊 রাহুলের বক্তব্য—টেবিলে সংক্ষেপে
| বিষয় | পুরনো প্রজন্মের স্ট্রাগল | বর্তমান প্রজন্মের স্ট্রাগল |
|---|---|---|
| প্রধান সমস্যা | না-খেয়ে থাকা, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই | কাজ টিকিয়ে রাখা, অভিনয়ের ধারাবাহিকতা |
| অর্থনৈতিক অবস্থা | অত্যন্ত খারাপ | তুলনামূলক স্বচ্ছল |
| লড়াইয়ের ধরণ | বাঁচার জন্য সংগ্রাম | ক্যারিয়ার ধরে রাখার লড়াই |
| রাহুলের মত | “আমরা সে লড়াই করিনি” | “আমাদের ভয়—জায়গা ধরে রাখতে পারব কি না” |
🌟 রাহুল কেন ‘স্ট্রাগলার’ নন?
- পকেটে টানের অভাব ছিল না
- পরিবার থেকেও মিলেছে পূর্ণ সমর্থন
- পড়াশোনা ও জীবনযাত্রায় আর্থিক অসুবিধা হয়নি
তবে তাঁর ভয় আজকের প্রতিযোগিতা—
“এখনকার অভিনেতারা ভয় পান—তাঁদের জায়গা কি টিকবে?”
এই ভয়ই তাঁর নিজস্ব ‘স্ট্রাগল’।

