কেশরের দাম আজকাল মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বিরিয়ানি, পোলাও বা মিষ্টিতে কেশরের অনন্য সুবাস এবং রঙের জন্য অনেকেই রাসায়নিক রঙ ব্যবহার করেন। কিন্তু এই রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই, কেশরের বিকল্প হিসেবে কিছু ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর এবং সহজলভ্য।
১. গাঁদাফুলের পাপড়ি
গাঁদাফুলের উজ্জ্বল কমলা রং অনেকটাই কেশরের কাছাকাছি। এই ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে মিষ্টি খাবার ও দুধের পদে এটি চমৎকারভাবে কাজ করে। কেবল রং নয়, হালকা ফুলের সুবাসও মিলবে।
২. কুসুম ফুল বা স্যাফফ্লাওয়ার
স্যাফফ্লাওয়ার, যা কুসুম ফুল নামেও পরিচিত, কেশরের বিকল্প হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়। এর শুকনো পাপড়ি খাবারে উজ্জ্বল হলুদ রং আনে এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এই ফুলের নির্যাস কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. হলুদ ও প্যাপ্রিকা
গুঁড়ো হলুদ রান্নার রঙের জন্য আদর্শ বিকল্প। যদিও এতে কেশরের সুবাস নেই, তবে এটি খাবারে সুন্দর হলুদ আভা যোগ করে। প্যাপ্রিকা পাউডারও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মৃদু মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে লালচে রং আনে। মুঘলাই রান্নায় এটি বেশ জনপ্রিয়।
৪. বিটরুট ও গাজর
গাজর এবং বিটরুট প্রাকৃতিক রঙের দুর্দান্ত উৎস। বিটরুট থেকে প্রাকৃতিক লালচে রং পাওয়া যায়, যা মিষ্টি খাবার এবং পানীয়তে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে, গাজর গুঁড়ো করে রান্নায় কেশরের মতো সোনালি আভা আনা যায়।
৫. কুমকুম ফুল
কুমকুম ফুলের গুঁড়ো রং আনতে বেশ কার্যকর। যদিও কেশরের মতো সুগন্ধ না থাকলেও, এটি প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প। বিশেষত, উৎসবের সময়ে বা বড় আয়োজনের রান্নায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপসংহার
কেশরের মতো দামি উপাদান এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়া আপনার রান্নাকে যেমন সুরক্ষিত রাখবে, তেমনই পকেটের ভার কমাবে। প্রাকৃতিক উপায়ে রঙ আনতে গাঁদাফুল, কুসুম ফুল, হলুদ, প্যাপ্রিকা, বিটরুট এবং গাজর এককথায় দুর্দান্ত বিকল্প। তাই, সুস্থ থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর রান্নার স্বাদ উপভোগ করুন।