দুষ্টু ওয়েবসাইটে নাম তুললেন আরিনা রোডিওনোভা
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর পর, এক অবাক কাণ্ড ঘটালেন টেনিস তারকা আরিনা রোডিওনোভা। কিছুদিন ধরে তার ব্যক্তিগত জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই চলছিল, এবং এবার তিনি নিজের নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আবারো শিরোনামে উঠে এলেন। এক দিকে যখন তার কেরিয়ার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল, তখন তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি একটি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে নাম তুলেছেন। এটি অনেকেই একেবারে অবিশ্বাস্য মনে করলেও, এর পেছনে তার নিজের যুক্তি রয়েছে।
আরিনা রোডিওনোভা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক টেনিসের একটি পরিচিত নাম, তার কেরিয়ারে একাধিক মোড় ছিল। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে তিনি টেনিস দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কারণে তার জীবনকে একটি নতুন রূপরেখা দিতে তাকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। সম্প্রতি তার প্রাক্তন ফুটবলার স্বামী টাই ভিকারির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, যা তাকে অনেকটা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে। এর পরেই তিনি দুষ্টু ওয়েবসাইটে নাম তুলেছেন, যা তিনি নিজে ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে ঘোষণা করেন, “যাঁরা বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তাঁদের জন্য সুখবর। আমার একটি ‘অনলি ফ্যানস’ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। এবার দেখাই যাক কী হয়।” এই ঘোষণার পরেই শুরু হয় চর্চা। টেনিস মহলে ও তার ভক্তদের মধ্যে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
আরিনা অবশ্য একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় নন যিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর আগে টেনিস জগতের বেশ কিছু তারকাও প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এই তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন টেনিস তারকা অ্যাশলে হারক্লেরোড, আমেরিকার খেলোয়াড় সাচিয়া ভিকারিও, এবং উইম্বলডনের ফাইনালিস্ট নিক কিরগিওসের মতো নাম। তারা সবাই নিজেদের অনুরাগীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ওই মাধ্যম ব্যবহার করেন।
আরিনা রোডিওনোভা ১৯৮৯ সালে রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পেশাদার টেনিসে বেশ কিছু সময় ধরে প্রতিযোগিতা করছেন এবং ডাবল্স খেলে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৪১ নম্বরে উঠে আসেন। যদিও সিঙ্গল্সে তার গ্র্যান্ড স্ল্যামের তৃতীয় রাউন্ডের বেশি পৌঁছানো হয়নি, কিন্তু ডাবল্সে তিনি বেশ সফল ছিলেন।
২০২২ সালে আরিনা কব্জিতে আঘাত পেয়ে প্রায় আট মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে সেই সময়টি তার জন্য বেশ কঠিন ছিল, কারণ র্যাঙ্কিংয়ে নাম নেমে গিয়েছিল ৩০০-এর নিচে। তবে তিনি দ্রুত ফিরতে সক্ষম হন এবং পরবর্তী সময়ে ৭৯টি ম্যাচ এবং সাতটি আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট জিতে ফের নিজের সাফল্য প্রমাণ করেন।
আরিনা রোডিওনোভা এখন কী ধরনের বিষয়বস্তু ওই ওয়েবসাইটে শেয়ার করবেন, তা নিয়েও অনেক আলোচনা চলছে। তবে তার এই পদক্ষেপ নিয়ে নানা মত রয়েছে। কিছু মানুষ তার এই সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত জীবনের একটি পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, আবার কিছু মানুষ মনে করছেন, এটা তার কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত পরিস্থিতির একটি নতুন দিক।
এটি স্পষ্ট যে, আরিনা রোডিওনোভা তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন এবং এক নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে ক্রীড়াজগতের বাইরেও তার পরিচিতি বাড়ছে।
উদিত নারায়ণের চুমু বিতর্কে কটাক্ষ উরফির! বয়স টেনে এনে বললেন