কুম্ভমেলায় মহিলাদের গোপন ভিডিয়ো তুলে বিক্রি!
প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানে আসা মহিলাদের গোপন ভিডিয়ো তুলে তা সমাজমাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’টি সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে গোপন ভিডিয়ো
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম অভিযোগ জমা পড়ে, যেখানে বলা হয় একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মহিলাদের স্নানের ভিডিয়ো আপলোড করা হচ্ছে। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি আরও একটি অভিযোগ আসে, যেখানে টেলিগ্রামের মাধ্যমে একই ধরনের ভিডিয়ো বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানানো হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন,
📌 “দু’টি সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে এবং আরও অ্যাকাউন্ট এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
মেটার সাহায্যে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ
কুম্ভমেলায় যাতে ভুয়ো খবর বা আপত্তিকর বিষয় ভাইরাল না হয়, সে বিষয়ে রাজ্য পুলিশের নজরদারি দল কাজ করছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,
📌 “সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো এবং ছবিগুলির উৎস চিহ্নিত করতে আমরা মেটার সাহায্য নিচ্ছি। সব দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এই ঘটনার পর থেকে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। কুম্ভমেলার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং মহিলাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যোগী সরকারের উপর উঠছে প্রশ্ন
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মহাকুম্ভ মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই মেলার মধ্যে একাধিক অগ্নিকাণ্ড, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটেছে। এর ফলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
📌 রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, এত বিশাল আয়োজনের পরও কেন প্রশাসন মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হল?
📌 কেন এতদিনেও সমাজমাধ্যমে এমন অসাধু কার্যকলাপ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে। সমাজমাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ— সকলেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে,
📌 “অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে এবং কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না দেখায়।”
এখন দেখার, তদন্ত কত দ্রুত এগোয় এবং অভিযুক্তরা আদৌ শাস্তি পায় কি না। তবে এই ঘটনা আবারও মহিলাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে, যা শুধু কুম্ভমেলা নয়, গোটা দেশেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?