কহো না প্যার হে- হাসপাতালে ছুটলেন হৃতিক!
২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের ঐতিহাসিক সিনেমা ‘কহো না প্যার হে’-এর শুটিং করতে গিয়ে একাধিক চরম ঘটনা ঘটে। হৃতিক রোশন এবং অমিশা পটেল অভিনীত এই ছবির শুটিং একদিকে যেমন বিপুল সাফল্য পেয়েছিল, অন্যদিকে অনেক ঝুঁকি ও বিপত্তির সম্মুখীনও হতে হয়েছিল তাদের। সম্প্রতি, এই ছবির ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সিনেমাটি ফের মুক্তি পায় সিনেমা হলে। তবে এই সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনগুলোতে সেই শুটিংয়ের অজানা গল্পগুলোও উঠে এসেছে।
‘কহো না প্যার হে’ ছিল অমিশা পটেলের অভিনয়ের প্রথম ছবি, যেখানে হৃতিক রোশনকে তাঁর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল। ছবির নির্মাণের সময় অমিশা বিনোদন দুনিয়ার এক নতুন মুখ ছিলেন, এবং তাঁর জন্য এটি ছিল এক বিশাল সুযোগ। হৃতিকও তখন এক নয়া তারকা, কিন্তু শুটিং চলাকালীন ঘটে এমন কিছু বিপত্তি, যা হয়তো তিনি আজও ভুলে যেতে পারেন না।
শুটিংয়ের দুর্ঘটনা: ভোর ৪টায় হাসপাতালে ছুটলেন হৃতিক
এই ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য ছিল। শুটিংয়ের এক দিন, এক শক্তিশালী অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করার সময় হৃতিকের পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। আঘাতটি এতটাই তীব্র ছিল যে সেটের অন্যান্য সদস্যরা সেই শব্দ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। তখন রাতের প্রায় ৪টা। অভিনেতার পিঠে এত মারাত্মক আঘাত লেগেছিল যে তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত শুটিং বন্ধ ছিল, কারণ হৃতিকের পিঠে আঘাত এত গুরুতর ছিল যে পুরোপুরি সুস্থ হতে তাকে সময় নিতে হয়েছিল।
অমিশার গুলিবিদ্ধ হওয়া: কী হয়েছিল আসলে?
শুটিংয়ের দ্বিতীয় দফায়, অমিশা পটেলও বিপদে পড়েন। ক্লাইম্যাক্স শুটিংয়ের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। অমিশার পিঠে গুলি লাগে, তবে তার উপস্থিত বুদ্ধি তাঁকে রক্ষা করে। গুলি সরাসরি পিঠে না লেগে তার মুখের কাছ থেকে সরে যায়। অমিশা নিজেই এই ঘটনার বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘‘গুলি ছিল আমাদের পিঠে, কিন্তু আমি সময়মতো মুখ সরিয়ে নেবার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নাহলে গুলি সোজা চোখে এসে লাগত।’’ যদিও অভিনেত্রী গুলিটি কীভাবে লেগেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে এর পরও শুটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একাধিক বাধা-বিঘ্নের পর সাফল্য
এই সিনেমার শুটিং চলাকালীন একাধিক বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। যেমন, হৃতিকের পিঠে আঘাত, অমিশার গুলিবিদ্ধ হওয়া, এবং ছবির বিভিন্ন দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া ছোট-বড় দুর্ঘটনা, সবই ছবির মুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এসব বিপত্তির পর, যখন সিনেমাটি মুক্তি পেল, তখন সেটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
‘কহো না প্যার হে’ মুক্তির পর রাতারাতি এই ছবির দুই মুখ হৃতিক রোশন এবং অমিশা পটেল হয়ে ওঠেন দেশের জনপ্রিয় তারকা। ছবিটি ভারতীয় সিনেমার সাফল্যের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে দেয়। এটি ছিল এমন একটি সিনেমা যা বলিউডের বাজারে নয়া রেকর্ড তৈরি করে এবং অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠিত করে।
শেষ পর্যন্ত, ‘কহো না প্যার হে’ শুধু যে দুই তারকার ক্যারিয়ারকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল, তা নয়, এই ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আজও তাদের মনে উজ্জ্বল হয়ে আছে। যদিও অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল, তবে সেইসব প্রতিকূলতার মধ্যেও ছবিটি আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
তাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে হোটেলের বাথটাবে মিলল ভারতীয় বধূর দেহ! স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ