কলেজের ঘরে ‘অদৃশ্য লেফটেন্যান্ট’!
১৯ বছর বয়সে স্বপ্ন ছিল অলিম্পিকে দৌড়ানোর। ছাত্রবৃত্তি নিয়ে নিউ ইয়র্কের জেনেসিও কলেজে পড়তে গিয়েছিলেন ক্রিস দি সিজ়ারে। কিন্তু কলেজে ওঠে এল এমন এক অভিজ্ঞতা, যা তাঁর জীবন পুরোপুরি বদলে দিল।
অলৌকিক অভিজ্ঞতার শুরু
কলেজে এসে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পরাবাস্তব গবেষক এড ওয়ারেন ও লোরেন ওয়ারেন।
দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ক্রিসও। কিন্তু মঞ্চের সামনে যেতে মাত্রই লোরেন তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন এবং বলেন—
“আমি আমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই না।”
এই কথায় অস্বস্তি হয় ক্রিসের। কয়েক দিন পর থেকেই অদ্ভুত ঘটনা শুরু—
- নাম ধরে ফিসফাস ডাক
- ঘরে হঠাৎ শীতল হাওয়া
- মানুষের ছায়া দেখা
প্রথমে শুধু ক্রিস, পরে তাঁর বন্ধুরাও সেই উপস্থিতি টের পান।
‘টমি’ নাম দেওয়া অশরীরী
ক্রিস ও বন্ধু জেফ একটি রেকর্ডার ব্যবহার করে অশরীরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
রেকর্ডারে পাওয়া যায় বিপদের আর্তনাদ।
একজন পাদরি এসে প্রার্থনা করলেও কিছুদিন পর ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর মোড় নেয়।
রক্তাক্ত হামলা বাথরুমে
স্নান করার সময় অদৃশ্য শক্তি ক্রিসকে ধাক্কা মারে।
জেফ ছুটে এসে দেখে—
- ক্রিস মেঝেতে পড়ে
- পিঠে তিনটি লম্বা দাগ
- দাগ থেকে রক্ত ঝরছে
ক্রিস তখন বুঝতে পারেন— এটি সাধারণ কিছু নয়।
লেফটেন্যান্ট বয়েডের ইতিহাস
পরের দিন বাবা সঙ্গে দৌড়াতে গিয়ে ক্রিস দেখেন পার্কার বয়েড-এর স্মৃতিস্তম্ভ।
গ্রন্থাগারে খুঁজে জানা যায়—
- থমাস বয়েড ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের এক লেফটেন্যান্ট
- শাস্তিস্বরূপ তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল
- তাঁর দেহ যেখানে পাওয়া যায়, ক্রিস প্রতিদিন সেই পথেই দৌড়াতেন
তখনই ক্রিসের মনে হয়—
“টমি আসলে লেফটেন্যান্ট বয়েডের আত্মা।”
মুক্তির অদ্ভুত উপায়
ক্রিস সেই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে জোরে বলেন—
“তোমার সাথে যা হয়েছে তা অন্যায়।
কিন্তু তুমি এখানে থাকা উচিত নয়।
আমি এক থেকে দশ গুনব। তারপর তুমি চলে যাবে।”
দশ গোনা শেষ— এবং বলা হয়— অশরীরীটি আর কখনও ফিরে আসেনি।
পরিণতি
- সেই ঘটনার পর ক্রিস নিজেকে গুটিয়ে নেন
- বন্ধুরা দূরে সরে যায়
- অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্নও ছেড়ে দেন
- আজও তিনি ঘটনাটি মনে করলে শিউরে ওঠেন
এই বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে OTT সিরিজ
“True Haunting”, যার প্রযোজনায় আছেন জেমস ওয়ান।

