কলকাতা মেট্রো
কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ পথে আত্মহত্যার কয়েকটি ঘটনা সম্প্রতি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, এবং এই সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন মেট্রো পথের প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর বসানোর দাবি উঠেছে। তবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে খরচ এবং প্রযুক্তিগত বাধা অন্যতম।
কয়েক বছর আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথে প্ল্যাটফর্মের দুই প্রান্তে কাচের স্ক্রিন ডোর বসানোর জন্য প্রতি স্টেশনে খরচ হয়েছিল পাঁচ থেকে ছ’কোটি টাকা। তবে, কলকাতা মেট্রোর অন্যান্য পথে প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিন ডোর বসানো একটি জটিল কাজ। কারণ, প্রতিটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য এবং ট্রেনের কোচ সংখ্যা অনুযায়ী খরচ অনেক বেশি হতে পারে। বিশেষত, আট কোচের ট্রেন চলাচল করলে প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য ১৮০ মিটার বা তার বেশি হওয়া দরকার, যা খরচের দিক থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর তুলনায় অনেক বেশি।
আরও বড় সমস্যা হলো, এই স্ক্রিন ডোর ব্যবস্থা কার্যকর করতে হলে ট্রেন নিয়ন্ত্রণে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন। প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিন ডোর এবং ট্রেনের দরজা একযোগে খোলার জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। বর্তমানে, শুধু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে এই প্রযুক্তি কাজ করছে। তবে, নতুন মেট্রো পথগুলোতে এই প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে, বিশেষত নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, জোকা-এসপ্লানেড এবং নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রোপথে।
এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হলে, বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনে স্ক্রিন ডোর বসানো সম্ভব হতে পারে। তবে, পুরো পরিকল্পনা সফল হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে, কারণ বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো পথে সিগন্যালিং এবং ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলছে।
অতএব, প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর বসানোর পরিকল্পনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হলেও, সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ধাপে ধাপে কাজ চলবে।