কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন অভ্যাস শুরু করেছেন সোহা আলি খান!
বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান সবসময়ই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখেন। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি তিনি নতুন এক অভ্যাস শুরু করেছেন, যা নিয়ে তিনি নিজেও খুশি এবং তার ফলাফলও ভাল পাচ্ছেন। চলুন জেনে নিই, সকালে উঠে সোহা কীভাবে নিজেকে সতেজ ও সুস্থ রাখছেন।
সোহা আলি খান বললেন, তিনি প্রায় এক মাস ধরেই খালি পেটে রসুন খাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিন মাস ধরে তিনি চালকুমড়োর রস পান করছেন, যা স্বাদবর্ধক ছাড়াই। তবে সম্প্রতি নতুন অভ্যাস হিসেবে তিনি সকালে উঠে এক থেকে দু’টি কোয়া রসুন চিবিয়ে খাওয়া শুরু করেছেন। রসুন চিবিয়ে নিলেই এর প্রধান উপাদান অ্যালিসিন শরীরে কার্যকর হয়। যাঁরা সরাসরি রসুন চিবিয়ে খেতে পারছেন না, তাঁরা থেঁতো করে খেতে পারেন বলেও বলেছেন সোহা।
রসুনের তীব্র গন্ধ আসলে এই অ্যালিসিন নামক উপাদানের কারণেই, যা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। রসুন খাওয়ার ফলে পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীরের টক্সিন দূর হয়। বর্ষার সময় ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রোজ তিন কোয়া রসুন খাওয়া যেতে পারে।
সোহা নিজে জানিয়েছেন, এই অভ্যাসের ফলে তার শরীর অনেক সতেজ বোধ করছে, তবে তিনি সতর্কও করেছেন যে, যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, যাঁদের অস্ত্রোপচার হয়েছে বা পেটের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর রসুন খাওয়ার পর দাঁত না মাজলে সমস্যা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন।
সোহা আরও কিছু রসুনের উপকারিতা তুলে ধরেছেন:
- রসুন প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়।
- রসুন খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও পেট ভাল থাকে।
- শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। সেজন্য গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস আর তিন কোয়া রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ঠান্ডা লাগলে রসুন অত্যন্ত উপকারী। তখন থেঁতো রসুন জলে ফুটিয়ে ছেঁকে চায়ের মতো খেতে পারেন।
- গরম ভাতের সঙ্গে ঘি দিয়ে ভাজা রসুনও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে চিকিৎসকেরাও জানান, এই নিয়ম সবাই মেনে চললে ভাল হয় না। যাদের পেটের সমস্যা থাকে, তাঁরা গরমের দিনে রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকবেন।
সোহার এই অভ্যাস থেকে আমাদের শেখার কথা হলো—ছোট ছোট স্বাস্থ্যকর পরিবর্তনই দীর্ঘমেয়াদে আমাদের শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে। তাই নিজের শরীরের সুরক্ষায় একটু বেশি খেয়াল রাখা দরকার। সোহার মতো সামান্য একটা অভ্যাস বদলেও আমরা অনেক ভালো ফল পেতে পারি।
ঘন ঘন প্রস্রাব নয়, আরও অনেক উপসর্গ জানান দিতে পারে ডায়াবিটিস! কী ভাবে বুঝবেন?

