কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালের হত্যাকাণ্ডে প্রেমিক!
হরিয়ানার তরুণ কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক সন্দেহভাজন। মাত্র কয়েকদিন আগে রোহতকের সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাইওয়ের ধারে একটি ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। প্রথম থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছিল, আর অবশেষে রবিবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু কেন খুন করা হলো হিমানীকে? সত্যিই কি এটি প্রেমঘটিত কোনও প্রতিশোধ, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র?
🔹 কীভাবে পাওয়া যায় হিমানীর দেহ?
গত ১ মার্চ, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক পথচারী রাস্তায় পড়ে থাকা একটি নীল রঙের ট্রলিব্যাগ দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ব্যাগটি খুলতেই চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা— ভেতরে ছিল কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালের দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, এবং গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।
🔹 কে এই গ্রেফতারকৃত যুবক? কী বলছে পুলিশ?
🔹 হিমানীর প্রেমিক ছিল অভিযুক্ত যুবক!
🔹 পুলিশের দাবি, হিমানী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছিল এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছিল।
🔹 এই কারণেই রাগের বশে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
🔹 অভিযুক্ত যুবক হিমানীর বাড়ির পরিচিত ছিল, কারণ ট্রলিব্যাগটি তাঁর বাড়ি থেকেই নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবককে জেরা করে হত্যার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।
🔹 হিমানীর মা কী বলছেন?
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কার্যত ভেঙে পড়েছেন হিমানীর মা সবিতা নরওয়াল। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন—
🗣️ “আমি নিশ্চিত, হত্যাকারী আমাদের পরিচিত কেউ। হয় সে আমাদের আত্মীয়, নয়তো দলের কেউ।”
তিনি আরও বলেন,
🗣️ “আমার মেয়ে হয়তো কোনও অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেছিল, তাই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি চাই, দোষীকে দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হোক!”
🔹 হিমানী ছিলেন কংগ্রেসের উদীয়মান মুখ
✅ হিমানী নরওয়াল ছিলেন হরিয়ানার কংগ্রেসের এক তরুণ নেত্রী।
✅ তিনি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-তেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
✅ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
✅ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডা ও তাঁর পুত্র দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন হিমানী।
🔹 কংগ্রেসের দাবি— সুষ্ঠু তদন্ত হোক
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন্দ্র হুডা জানিয়েছেন—
🗣️ “এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আমরা চাই, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক এবং দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।”
🔹 তদন্তের অগ্রগতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ
✅ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত আরও গভীরভাবে করছে।
✅ আরও কোনও সন্দেহভাজন জড়িত আছে কিনা, তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।
✅ অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোন ও কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে হত্যার পেছনে কোনও সুগভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে কিনা তা বোঝা যায়।
✅ হিমানীর পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যাতে হত্যার প্রকৃত উদ্দেশ্য জানা যায়।
🔹 শেষ কথা
এক তরুণ নেত্রীর এভাবে নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুধু তাঁর পরিবার নয়, পুরো রাজনৈতিক মহলকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। সত্যিই কি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে এই হত্যা, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও বৃহত্তর চক্রান্ত?
পুলিশের তদন্তে হয়তো খুব শিগগিরই মিলবে উত্তর। কিন্তু হিমানীর পরিবার ও সমর্থকরা চাইছেন দ্রুত বিচার এবং দোষীর কঠোর শাস্তি।
👉 আপনার কী মতামত? এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কি শুধুই ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে? কমেন্টে জানান!
‘প্যাক-ফ্যাক’ থেকে ‘আমার আইপ্যাক’— কেন বদলে গেল মমতার অবস্থান?