Monday, April 21, 2025

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরণ! মোহাম্মদ সেলিমদের রিটে বুধবার শুনানি

Share

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরণ!

নতুন করে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সেই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বসতে চলেছে এক গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শুনবেন এই সংক্রান্ত সব ক’টি রিট পিটিশনের একত্রিত আর্জি। দুপুর ২টোয় শুরু হবে এই আইনি যুদ্ধ।

এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতা এবং রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। মঙ্গলবারই তিনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর অভিযোগ, নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন শুধু অগণতান্ত্রিকই নয়, তা সংবিধানবিরোধীও। আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই আইনের অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তিনি।

শুধু সেলিম নন, এই আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও সাংসদ সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, যিনি এই আইনের একটি নির্দিষ্ট ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন। তিনি প্রথম অমুসলিম মহিলা হিসেবে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতে গিয়েছেন। এর আগে আরজেডির মনোজ ঝাও একটি পৃথক মামলা করেছিলেন একই বিষয়ে।

তবে এখানেই শেষ নয়। তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও এই আইনের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপি-বিরোধী দলের বহু নেতাও ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল গভীর রাতে লোকসভায় এবং ৩ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় পাশ হয় বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাতে সই করার পরই এই বিল আইনে পরিণত হয়। সরকারের এই আচরণকেই চরম অবজ্ঞা এবং তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।

মোহাম্মদ সেলিম মঙ্গলবার বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি, কিন্তু রাজ্য সরকার এই বিষয়ে নীরব। এমনকি লোকসভায় ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের তিন সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এই আইনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইতে নেমে পড়েছেন যারা, তাদের মতে এটি শুধুই একটি ধর্মীয় সংস্থা সম্পর্কিত আইন নয়, এটি সংবিধানিক অধিকার এবং সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপের বিষয়। তাই ধর্মীয় নয়, বরং নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্যই আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

বুধবারের এই শুনানি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে। দেখা যাক, দেশের শীর্ষ আদালত কী অবস্থান নেয় এই বিতর্কিত আইনের বিষয়ে। প্রশ্ন একটাই—সংবিধান বাঁচবে, না সরকার চালাবে একতরফা আইন?

মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে স্বস্তির হাওয়া, ঘরছাড়াদের ফেরাতে প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ

Read more

Local News