Monday, December 1, 2025

ওজন কমাতে কফি কি সত্যিই সাহায্য করে? কী ভাবে, কখন খাওয়া উচিত—বলে দিচ্ছে বিজ্ঞান

Share

ওজন কমাতে কফি কি সত্যিই সাহায্য করে?

আপনার ওজন ৮০ কেজি। প্রতিদিন কফি খেতে শুরু করলেন। তাহলে কি মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ৫ কেজি ওজন কমে যাবে? উত্তরটা সরল নয়। বিষয়টা আসলে নির্ভর করে আপনি কীভাবে, কখন এবং কী সঙ্গে কফি খাচ্ছেন তার উপর।

বিজ্ঞান বলছে, কফি শুধু মন চাঙ্গা করে না, ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সেটা তখনই সম্ভব, যখন কফি সঠিক নিয়মে খাওয়া হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফির নির্দিষ্ট উপাদান যেমন ক্যাফিন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়াতে পারে, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

কী ভাবে কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

১. বিপাক হার বাড়ায়:
ক্যাফিন বিপাকের গতি বাড়ায়, ফলে শরীর বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারে। অন্য দিকে, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের শর্করা শোষণের হার কমিয়ে দেয়। দু’টিই মিলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

২. ফ্যাট ভাঙে:
কফির ক্যাফিন ফ্যাট সেল থেকে ফ্যাটি অ্যাসিড বের করে আনে এবং তা শক্তি উৎপাদনের কাজে লাগে। ফলে ফ্যাট কমে।

৩. খিদে কমায়:
কফি খেলে ক্ষণিকের জন্য ক্ষুধা অনুভব হয় না, যা অতিরিক্ত খাওয়া কমিয়ে শরীরে মেদ জমা কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে চাইলে কফি খাওয়ার নিয়ম

১. চিনি বাদ, লেবু যোগ:
ওজন কমাতে চাইলে সবসময় চিনিমুক্ত ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত। চাইলে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে পারেন—এতে বিপাকের হার আরও বাড়বে।

২. খাঁটি ডার্ক চকলেট:
অল্প পরিমাণ খাঁটি ডার্ক চকলেট কফিতে মেশালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ে, যা ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে।

৩. সময় বেছে নিন:
ব্যায়ামের আগে কফি খেলে তা বেশি কার্যকর হয়। এমনকি খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কফি খেলেও ক্যালোরি গ্রহণ কম হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. অভ্যাসে ছেদ রাখুন:
কফির প্রতি শরীরের সহনশীলতা তৈরি হয়ে গেলে তার প্রভাব কমে যায়। তাই টানা দুই সপ্তাহ কফি খাওয়ার পর এক সপ্তাহ বিরতি নিতে পারেন।

৫. অতিরিক্ত মোটা হলে প্রভাব কম:
গবেষণা বলছে, যাঁদের অতিরিক্ত স্থূলতা নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কফি খেয়ে ওজন কমার হার ২৯ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তবে অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই হার প্রায় ১০ শতাংশে নেমে আসে।

৬. শরীরচর্চা না হলে কাজ কম:
কফি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ছাড়ে ঠিকই, কিন্তু শরীরচর্চা না করলে তা কাজে লাগে না। ফলে, কফির প্রভাব পুরোপুরি পেতে ব্যায়াম জরুরি।

সতর্কতা

ওজন কমাতে কফি একটি প্রাথমিক সহায়ক হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে শুধু কফির উপর নির্ভর করা ঠিক নয়। সুষম খাদ্য, ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা না থাকলে কফির উপকারও সীমিত হয়ে যাবে। তাই কফিকে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করুন, নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে নয়।

পাকিস্তানি ভাইবোনদের উদ্দেশে রণবীরের পোস্ট কেন মুছলেন? বিতর্কের মধ্যে সাফাই দিলেন অভিনেতা

Read more

Local News